সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এতদিন পর্যন্ত ডার্বিতে গোল ছিল না ব্রাজিলীয় ক্লেটন সিলভার। তাঁর আগে কলকাতায় খেলে যাওয়া ডগলাস দ্য সিলভা, হোসে রামিরেজ ব্যারেটোরা অতীতে বহু ডার্বির ভাগ্য গড়ে দিয়েছেন। ক্লেটন অন্য দলের বিরুদ্ধে গোল করেছেন, ইস্টবেঙ্গলকে জিতিয়েছেন। কিন্তু মর্য়াদার ডার্বিতে গোল পাননি। ওড়িশায় সুপার কাপের ডার্বিতে নামার আগে ভিতরে ভিতরে ফুটছিলেন ক্লেটন। দিনান্তে ক্লেটনই ভাগ্য গড়ে দিলেন ডার্বির। জোড়া গোল করে তিনিই নায়ক। লাল-হলুদের হয়ে সমতা ফেরালেন ক্লেটন। আবার ইস্টবেঙ্গল যখন ২-১ গোলে এগিয় জয়ের গন্ধ পাচ্ছে, তখন ক্লেটন নিজের দ্বিতীয় গোলটি করে সবুজ-মেরুনের কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেন। ক্লেটনই ওড়িশায় জ্বাললেন মশাল। তাঁর গোলেই মোহনবাগানের স্বপ্ন ভেঙে গেল। সুপার কাপ থেকে ছিটকে গেল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। অনন্ত চাপ নিয়ে ডার্বি খেলতে নেমেছিল মোহনবাগান। জিততে হবেই। ড্র করলে ইস্টবেঙ্গল শেষ চারে পৌঁছে যাবে। কিন্তু বল গড়ানোর পর থেকেই অন্য মোহনবাগানকে দেখা যায়। ১৯ মিনিটে কর্নার থেকে হেক্টরের ফ্লিক স্বপ্নের জাল বুনতে থাকে মোহনবাগানের সমর্থকরা। পিছিয়ে পড়ে ইস্টবঙ্গল তখন কিছুটা হলেও দিগভ্রষ্ট। ঠিক এরকম সময়ে ক্লেটন বিস্ফোরণ ঘটালেন বক্সের বাইরে থেকে। ব্রাজিলীয় তারকার কামানদাগা শট মোহনবাগানের জালে জড়িয়ে যায়। সবুজ-মেরুন গোলকিপার আর্শ শরীর ছুড়ে দিয়েও বলের নাগাল পাননি। ওই গোল দেখেই ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা উপলব্ধি করেন দিনটা তাঁরই হতে চলেছে। ডুরান্ড কাপে নন্দকুমারের গোলে প্রথম ডার্বি জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। সেই নন্দই ওড়িশায় দ্বিতীয় গোলটি করেন লাল-হলুদের হয়ে। ইস্টবেঙ্গল যখন ২-১ গোলে জিতছে, জয়ের গন্ধ ম ম করছে ইস্টবেঙ্গলের সাজঘরে, ঠিক তখনই ক্লেটন আবার জ্বলে ওঠেন। ৩-১ করে ম্যাচ নিয়ে যান ইস্টবেঙ্গলের সাজঘরে। তার পরেই সেই উদযাপন। রিকলমে ঠিক যেমন করে গোল উদযাপন করতেন ক্লেটনও ঠিক একই ভাবে সেলিব্রেশনে মেতে উঠলেন।
[আরও পড়ুন: অনুষ্টুপ-অভিষেকের ব্যাটে লড়াইয়ে ফিরল বাংলা, বড় রানের লিড পাবে?]
ডার্বির বল গড়ানোর আগে ক্লেটন জানিয়েছিলেন, প্রতি মুহূর্তে উন্নতির চেষ্টা করে চলেছেন তিনি। তাঁকে ঘিরে সমর্নথকদের প্রত্যাশা অনেক। ভারতে খেলার অভিজ্ঞতা থেকে ক্লেটন জানেন ডার্বির গুরুত্ব। এ তো নিছক একটা ম্যাচ নয়। এই ডার্বি তার থেকেও বড়। আরও অনেককিছু ডার্বি। স্নায়ুর প্রচণ্ড চাপ সামলেও ক্লেটন ফুল ফোটালেন সুপার কাপের ডার্বিতে। ডার্বি ম্যাচ প্রতিষ্ঠা দিয়ে যায় ফুটবলারকে। এক ম্যাচ নিমেষে কাউকে নায়ক বানায়। এক ম্যাচই আবার খলনায়ক বানিয়ে দেয়।
[আরও পড়ুন: আইপিএলের আগে নাইট শিবিরে হইচই, শ্রীলঙ্কা জাতীয় দলে যোগ দিলেন বোলিং কোচ]