সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেসিডেনশিয়াল ডিবেটে প্রথমবার মুখোমুখি হয়েই প্রতিপক্ষ ডোনাল্ড ট্রাম্পকে টেক্কা দিয়েছেন কমলা হ্যারিস। ডিবেটের পর হওয়া এক সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, ভারতীয় বংশোদ্ভূত রাজনীতিক দুঁদে রিপাবলিকান নেতাকে ৬৩-৩৭ শতাংশের হিসেবে পিছনে ফেলেছেন। সিএনএন পোল অফ ডিবেট ওয়াচার্সের হিসেবে এমনটাই জানা গিয়েছে। যা থেকে পরিষ্কার, ট্রাম্পের লড়াইটা ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠছে।
ডিবেটের আগে নিউ ইয়র্ক টাইমস ও সিয়েনা কলেজের এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল একেবারে সেয়ানে সেয়ানে পরিস্থিতি। কিন্তু ডিবেট দেখার পরে ৯৬ শতাংশ কমলা হ্যারিস সমর্থকই জানিয়ে দেন, ডেমোক্র্যাট নেত্রী দুরন্ত পারফর্ম করেছেন। অন্যদিকে, ট্রাম্প সমর্থকদের মাত্র ৬৯ শতাংশই ডিবেটে তাঁর কথা শুনে মুগ্ধ হয়েছে। তবে এই সব পরিসংখ্যান কিন্তু কেবলমাত্র ডিবেট দেখা দর্শকদের মধ্যে হওয়া সমীক্ষা থেকেই জানা যাচ্ছে। মার্কিন ভোটারদের সামগ্রিক হিসেবে পরিস্থিতি কী দাঁড়ায় সেটাই এখন দেখার। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, সার্বিক ভাবেই কমলা হ্যারিস ক্রমেই ট্রাম্পকে টপকে যাচ্ছেন। কেননা এখনও পর্যন্ত হওয়া ভোট সমীক্ষাতেও অ্যাডভান্টেজ কমলাই।
[আরও পড়ুন: ভাঙা হাতেই প্রতিবাদে পথে নামলেন মিঠুন, বিবেক জাগরণ যাত্রায় মহাগুরু]
অথচ ট্রাম্প ডিবেটের জন্য আঁটঘাট বেঁধেই নেমেছিলেন। নির্বাচনে প্রতিপক্ষকে কুপোকাত করতে রিপাবলিকান নেতার হাতিয়ার ‘মোদির বন্ধু’ তুলসী গাবার্ড। জানা গিয়েছিল, কীভাবে কথার প্যাঁচে কমলাকে তর্কে ধরাশায়ী করা যায়, সেনিয়ে ট্রাম্পকে উপদেশ দিচ্ছেন একদা ডেমোক্র্যাট নেত্রী তুলসী। তুলসীর ডেমোক্র্যাটিক পার্টির বিরুদ্ধে ক্ষোভকেই কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু দেখা গেল, সেই নীল নকশাও তুমুল ব্যর্থ কমলার সামনে।
প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন এবং ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ থেকে শুরু করে মার্কিন অর্থনীতি, বিতর্কিত গর্ভপাত আইন, কমলার বিরুদ্ধে ট্রাম্পের বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য- একাধিক বিষয় উঠে এসেছিল ডিবেটে। উল্লেখ্য, এদিনের বৈঠকেই প্রথমবার সরাসরি সাক্ষাৎ হল ট্রাম্প-কমলার। নিজেই এগিয়ে গিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে করমর্দন করেন আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট। তার পরেই ট্রাম্পকে বিঁধে কমলা বলেন, উনি ক্ষমতায় এলে কোটিপতি এবং বড় ব্যবসায়ীদের করছাড় করবেন। কিন্তু ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জিতলে ছোট ব্যবসায়ী এবং পরিবারগুলোর পাশে থাকবেন। নিজের মধ্যবিত্ত পরিবারের কথা মনে করিয়ে দিয়ে কমলা বলেন, “আমজনতার জন্য ট্রাম্পের কোনও পরিকল্পনা নেই।” কমলা সাফ জানান, ট্রাম্পের ‘কীর্তি’ শুধরে নিতেই চার বছর সময় লেগে গিয়েছে ডেমোক্র্যাট সরকারের।