সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট পদপ্রার্থী হিসাবে নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল তাঁর নাম। এবার পড়ল সরকারি সিলমোহর। আনুষ্ঠানিকভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হলেন কমলা হ্যারিস। আসন্ন নির্বাচনে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনি। সেই নির্বাচনে জিতে গেলে মার্কিন ইতিহাসে প্রথম ভারতীয় বংশোভদূত হিসাবে বসবেন প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে। নির্বাচনে জিততে পারলে প্রথম মহিলা হিসাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ারও নজির গড়বেন কমলা হ্যারিস।
আগামী ৫ নভেম্বর আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তার আগে শেষবার শিকাগোয় বসেছে ডেমোক্র্যাটিক কনভেনশন। বৃহস্পতিবার ছিল সম্মেলনের শেষ দিন। সেখানেই সরকারিভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসাবে দায়িত্ব নেন কমলা। তার পরে ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন, "প্রেসিডেন্ট হিসাবে আমেরিকার সকলকে একজোট করব। আরও উন্নত আমেরিকা গড়ে তুলতে লড়াই করব। আজকে সরকারিভাবে আমি ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন গ্রহণ করছি।"
[আরও পড়ুন: পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক, পোলিশ বিনিয়োগকারীদের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’য় আহ্বান মোদির]
নির্বাচনে জো বাইডেনকে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী করে ডেমোক্র্যাটরা। কিন্তু ৮১ বছর বয়সি নেতা কি আগামী চার বছর ধরে আমেরিকাকে পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার জন্য শারীরিকভাবে সক্ষম? মার্কিন রাজনীতিতে সেই প্রশ্ন ছিলই। এহেন পরিস্থিতিতে তৃতীয়বারের জন্য কোভিড আক্রান্ত হন বাইডেন। তার পরেই বর্ষীয়ান ডেমোক্র্যাট নেতা নির্বাচন থেকে সরে আসার কথা ঘোষণা করেন। নিজের উত্তরসূরি হিসাবে বারবার কমলা হ্যারিসের নাম জানিয়েছিলেন বাইডেন।
মনোনয়ন গ্রহণ করার পরে কমলাকে আরও আত্মবিশ্বাস যোগাবে ওয়াশিংটন পোস্ট-এবিসি নিউজের সমীক্ষা। সেখানে বলা হয়েছে, আগামী দিনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে কমলাই। ৪৯ শতাংশ মানুষ তাঁকে প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে দেখতে চান। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পের ঝুলিতে রয়েছে ৪৫ শতাংশ ভোট। কিন্তু একমাস আগেও ছবিটা এরকম ছিল না। তখন ট্রাম্পকেই প্রেসিডেন্ট হিসাবে চেয়েছিলেন অধিকাংশ মার্কিন নাগরিক। আগামী দিনে কি এই ফলাফল ধরে রাখতে পারবেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নেত্রী?