shono
Advertisement

‘বামেরা নয়, যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যুতে দায়ী বামপন্থার মুখোশধারীরা’! দাবি কমলেশ্বরের

যাদবপুরকাণ্ডে বাম শিবিরকে দুষতেই 'নকল হইতে সাবধান' করলেন কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়।
Posted: 09:04 AM Aug 17, 2023Updated: 10:01 AM Aug 17, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যাদবপুর ছাত্রমৃত্যুতে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। বুধবারই বাম-তৃণমূল ছাত্র সংগঠনের সংঘর্ষে উত্তাল হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়। নেটপাড়ার একাংশের কাঠগড়ায় যখন বাম শিবিরে ছাত্র সংগঠন, তখন বামপন্থার ভেকধারীদের মুখোশ খুলতে মাঠে নামলেন কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়।

Advertisement

বুধবার দিনভর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর উত্তপ্ত ছিল। অশান্তির মাঝেই তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের নেত্রী রাজন্যা হালদারের জামা ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের সদস্যদের বিরুদ্ধে। এরপরই নেটপাড়ায় বাম শিবিরকে তুলোধনা করতে শুরু করে একাংশ। শুধু তাই নয়, সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে বামশিবিরের ছাত্র সংগঠনের স্বৈরাতন্ত্র চলে বলেও দাবি করেন অনেকে। সেই প্রেক্ষিতেই এবার বামপন্থীদের হয়ে ফেসবুক পোস্টে সুর চড়ালেন কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়।

টলিউড পরিচালকের মন্তব্য, “‘বামপন্থী’ বা ‘মার্কসবাদী’র মতো জেনেরিক বা সার্বজনীন শব্দগুলো ব্যবহার করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুষ্কৃতী আর প্রতিবাদীদের এক আসনে বসিয়ে দেওয়ার চক্রান্তে নেমেছে দুষ্কৃতীদের আশ্রয় দেওয়া রাজ্য ও কেন্দ্রের শাসকদলের লোকেরা। ‘স্বাধীন’ ও ‘অতিবাম’ নামাঙ্কিত বামপন্থার মুখোশধারী এই দুষ্কৃতীরাই নির্বাচনের সময় রাজ্যের ও কেন্দ্রের শাসকদলের ধ্বজা ধরে। তাই এদের বাঁচাতে আবার ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে শীর্ষ ক্ষমতার তল্পিবাহকেরা। সাবধান!”

[আরও পড়ুন: ‘OMG 2’ই ‘পয়া’? শিবের আশীর্বাদে বলিউডের নতুন বিগ বাজেট ছবিতে অক্ষয়]

প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই শিক্ষাক্ষেত্রে অ্যান্টি ব়্যাগিং ফোরাম বাঞ্ছনীয় করার পক্ষে আওয়াজ তোলেন টলিউড পরিচালক। তিনি লেখেন, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, প্রতিষ্ঠানের আধিকারিক ও ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে অ্যান্টি ব়্যাগিং ফোরাম তৈরি করা বাঞ্ছনীয়, যাঁদের কাছে ব়্যাগিং আক্রান্ত ছাত্র-ছাত্রীরা প্রয়োজনে নালিশ জানাতে পারে। এবং নবাগত ও নবাগতা ছাত্র-ছাত্রীরা পড়তে এলে সেই ফোরাম যেন প্রতিষ্ঠানে বা হোস্টেলে নজর রাখে। শিক্ষাক্ষেত্র বধ্যভূমি হয়ে উঠতে পারে না।”

কমলেশ্বর সেই পোস্টে এও বলেন যে, “ব়্যাগিং ব্যক্তিগত হতাশা আর আক্রমণের ঘৃণ্য প্রকাশ। আর তা যুথবদ্ধ হলে ক্ষমতার প্রদর্শনের আস্ফালন আরও বাড়ে। তার সঙ্গে থাকে রাজনৈতিক মদত ও বহিরাগত বা আপন দাদাদের উসকানি। অথচ এহেন বীরপুঙ্গবরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরে ঘটে যাওয়া যাবতীয় অন্যায় দেখলে কেঁচোর মতো গুটিয়ে রাখেন নিজেদের আর কর্মজীবনে ঘটে যাওয়া সার্বিক অপরাধের সামনে করজোড়ে নতমস্তকে দাঁড়ান।”

[আরও পড়ুন: বক্সঅফিসে সুনামি সতর্কতা! রিলিজের ৩ সপ্তাহ আগেই বিদেশ কাঁপাচ্ছেন ‘জওয়ান’ শাহরুখ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement