shono
Advertisement

কামদুনি ধর্ষণ-খুন মামলা: হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ, শীর্ষ আদালতে আবেদন রাজ্যের

মামলায় দোষীদের মৃত্যুদণ্ড রদ করে কলকাতা হাই কোর্ট।
Posted: 12:09 PM Oct 09, 2023Updated: 12:29 PM Oct 09, 2023

সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: কামদুনি (Kamduni) গণধর্ষণ ও খুনের মামলায় কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta HC) দোষীদের মৃত্যুদণ্ড রদ করেছে। তাদের আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাই কোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সোমবার সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন (SLP) দাখিল করল রাজ্য সরকার। বিচারপতি বিআর গভাইয়ের বেঞ্চে মামলাটি গৃহীত হয়েছে। রাজ্যের হয়ে সওয়াল করেন বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিব্বল। 

Advertisement

মামলার এজলাসের ওঠার সময় কপিল সিব্বলের আবেদন, যাদের মৃত্যুদণ্ড রদ হয়েছে,  তাদের মুক্তির বিষয়টি আটকে দেওয়া হোক। এটা গণধর্ষণ, খুনের মতো স্পর্শকাতর মামলা। সব দিকে বিবেচনা করে যেন রায় দেওয়া হয়।  এ প্রসঙ্গে তিনি CRPC-র ২৮৯ ও ৩৯০ ধারা উল্লেখ করে জানান, উচ্চতর আদালত চাইলে নিম্ন আদালতের দেওয়া রায় আটকাতেই পারে। বিচারপতি পালটা প্রশ্ন করেন, মানবাধিকার কি লঙ্ঘন করা যায়? এর পর বিচারপতি এই মামলার সঙ্গে যুক্ত সব পক্ষকে হলফনামা দেওয়ার জন্য ৭ দিন সময় দেন।

[আরও পড়ুন: হামাসের হামলায় মৃত মার্কিনরা, ইজরায়েলে যুদ্ধবিমান-রণতরী পাঠাল ক্ষুব্ধ আমেরিকা]

২০১৩ সালে কামদুনিতে কলেজছাত্রীর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার ১০ বছর পর রায় ঘোষণা করে কলকাতা হাই কোর্ট। গত শুক্রবার ডিভিশন বেঞ্চ মূল অভিযুক্ত আনসার আলি ও সইফুল আলির মৃত্যুদণ্ড রদ করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিযেছে। আর ডিভিশন বেঞ্চেরই রায়ে আমিন, আমিনুর, ইমানুল ও ভোলানাথ মুক্তি পেতে চলেছে। শুক্রবার এই রায় ঘোষণার পর আদালত চত্বরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন কামদুনির নির্যাতিতার পরিবার ও কামদুনি আন্দোলনের প্রতিবাদীরা। কামদুনি আন্দোলনের প্রতিবাদী মুখ হয়ে ওঠা টুম্পা কয়াল, মৌসুমী কয়ালদের গভীর হতাশায় কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়। ক্ষোভ ছড়ায় কামদুনি এলাকাতেও। রাজ্য সরকারের তরফেও এই রায়ের বিরোধিতায় শীর্ষ আদালতে যাওয়ার পরিকল্পনা জানায়। সোমবার সেইমতো স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল হল।

[আরও পড়ুন: অবশেষে মিলল সময়, আজ বিকেলে অভিষেকদের সঙ্গে দেখা করবেন রাজ্যপাল]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement