সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জামাইষষ্ঠীতে পুড়ছে গোটা শহর। রোদের তাপে শ্বশুরবাড়ি যেতে গিয়ে কালঘাম ছুটছে জামাইদের শরীর থেকে। এই চরম গরমে পাতপুরে পেটপুজো! বাপরে ভাবলেই জ্বর। কিন্তু সদ্য বিয়ে হওয়া কাঞ্চন-শ্রীময়ী কিন্তু একেবারে বিন্দাস। আর তাই তো জামাইষষ্ঠীর আগেই গরমকে জব্দ করতে দুজনে মিলে ঝুপ করে সুইমিং পুলে ডুব। আর সেই ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে শ্রীময়ী লিখলেন, 'খুব গরম পড়েছে,তাই'।
শ্রীময়ীকে বিয়ে করার পর এটাই কাঞ্চেনর প্রথম জামাইষষ্ঠী। কী কী প্ল্যান?
এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জামাইষষ্ঠী নিয়ে শ্রীময়ী জানিয়েছেন, তাঁদের বাড়িতে জামাইষষ্ঠী মানে শুধুই পেটপুজো নয়। বরং রয়েছে নানা রীতিনীতি। জামাইয়ের হাতে তুলে দিতে হয় কাঁঠাল পাতায় পাঁচ ফল, নতুন জামা কাপড় তো বটেই তার পাশাপাশি হাতে বেঁধে দিতে হয় হলুদ সুতো, আর পাখার বাতাস করবে শাশুড়ি। তবে এবার কাঞ্চনের জামাই আদরের পাল্লা ভারি। কেননা, এবার জামাইষষ্ঠীতে কলকাতার বাইরে থেকে এসেছেন তাঁর মাসিশাশুড়িরাও।
চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি রেজিস্ট্রি সারেন কাঞ্চন মল্লিক ও শ্রীময়ী চট্টরাজ। ২ মার্চ পারিবারিক সদস্য ও বন্ধুদের উপস্থিতিতে সাত পাকে বাঁধা পড়েন তাঁরা। কলকাতার এক পাঁচতারা হোটেলে ৬ মার্চ অনুষ্ঠীত হয় তারকাখচিত রিসেপশন।
[আরও পড়ুন: চোট নিয়েই শুটিং ফ্লোরে ফিরলেন ফাল্গুনী চট্টোপাধ্যায়]
কাঞ্চনকে নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় শ্রীময়ী লিখেছিলেন, শ্রীময়ী লিখলেন, ”জীবনে একবারই বিশেষ মানুষটির সঙ্গে দেখা হয়। যে কিনা আপনার হৃদয় জুড়ে থাকে। মনে প্রজাপতি ওড়ায়। এমন এক মানুষ যে কিনা ভালোবাসা, স্নেহ দিয়ে আপনাকে সামলে রাখে। আপনার মনে ভালোবাসার আগুন জ্বালায়। এমন কোনও মানুষ জীবনে এলে নিজেকে উজাড় করে দিন। তাঁকে ভালোবাসুন, কারণ, সে আপনার জীবনের সম্পদ। তুমিই সেই ভালোবাসা। তুমি শুধুই আমার মিস্টার মল্লিক।”