সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিয়েতে হ্যাট্রিক! সোশাল মিডিয়ায় নতুন বউয়ের সঙ্গে আদিখ্যেতা? বিয়ের আসরে আমন্ত্রণপত্র নিয়ে মারাত্মক শোরগোল! নেটদুনিয়ায় কাঞ্চন-শ্রীময়ীর ফলোয়ার বাড়লেও সেসব কাণ্ড-কারখানার জন্য তারকা বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিককে (Kanchan Mullick) চূড়ান্ত অপমানের মুখে পড়তে হল ভোটপ্রচারের মাঠে। উত্তরপাড়ার বিধায়ককে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দিনভর এই বিষয়ে জোর চর্চা জারি থেকেছে রাজনৈতিক মহলে। খবর কানে যেতেই হেসে খুন প্রাক্তন স্ত্রী পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায় (Pinki Banerjee)।
সাংসদ কল্যাণ (Kalyan Banerjee) বলেছিলেন, “আগেও তোমাকে আসতে বারণ করেছিলাম। গ্রামের মহিলারা ভীষণ রিঅ্যাক্ট করছেন।” একাধিকবার বিয়ের পিঁড়িতে বসার জন্যই কি গ্রামবাংলার মহিলারা তাঁকে দেখে 'রিয়্যাক্ট' করছেন? প্রশ্ন উঠেছে। সেই প্রসঙ্গেই এবার সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুললেন কাঞ্চন মল্লিকের প্রাক্তন স্ত্রী পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমটায় শুনেই তাঁর আকাশ থেকে পড়ার জোগাড়। এরপরই হাসি সামলে সংবাদ মাধ্যমের কাছে পিঙ্কি জানান, কী সব হচ্ছে! মহিলারা রিয়্যাক্ট করছেন। এসব তাঁর আর জানতে ভালো লাগে না। তিনি নিজেকে নিজের মতো গুঁটিয়ে নিয়েছেন।
কাঞ্চন-শ্রীময়ীর সম্পর্ক নিয়ে ২০২০ সাল থেকেই গুঞ্জন। তৎকালীন স্ত্রী পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায় অভিনেতার বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ এনেছিলেন। তা নিয়েও কম জলঘোলা হয়নি। পরবর্তীতে ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে পিঙ্কির সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটতেই ১৪ ফেব্রুয়ারি কাঞ্চনদার সঙ্গে আইনি মতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ বন শ্রীময়ী। মার্চে তাঁদের রিসেপশনের ভেন্যুতে রাখা বোর্ডের নির্দেশিকাকে ঘিরেও কম চর্চা হয়নি। লেখা ছিল, "সংবাদমাধ্যম, ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী এবং গাড়ির চালকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ…।" এবার ভোটপ্রচারের ময়দানেও নতুন করে বিতর্কে জড়ালেন কাঞ্চন মল্লিক। তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের আঁচ পড়েছে রাজনীতির মাঠেও।
[আরও পড়ুন: ‘গদ্দার’ শব্দে আপত্তি! ‘চাইলে মিঠুনদাকে কিডনি দিতে পারি’, সাফ কথা দেবের]
এপ্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার ফোনে সংবাদ প্রতিদিন ডট ইন-কে কাঞ্চন বলেন, "আমাকে নামিয়ে দেননি। আমি যখন উঠলাম তখন বললেন, ‘গ্রামে প্রচারে যেও না। গ্রামের লোকেরা তোমাকে দেখলে রিঅ্যাক্ট করছে। সরি টু সে । আমাকে ভোটটা করতে দাও।’ আমাকে বলেছে, আমি নেমে গেছি। কারণ দেখো, ওঁর ভোটপ্রচারের কী স্ট্র্যাটেজি জানি না।" একইসঙ্গে তাঁর দাবি, "দলীয় প্রচারে গেছি। লোকসভার প্রার্থীর প্রচারে গেছিলাম। বলেছেন নেমে যেতে, নেমে গেছি।"
মহিলারা কী কাঞ্চনকে দেখে ‘রিঅ্যাক্ট’ করছেন? বিক্ষোভ করছেন তারা? সেই প্রশ্নের জবাবে উত্তরপাড়ার বিধায়ক বললেন, “উনি বলছেন রিঅ্যাক্ট করছেন। কিন্তু আমি যখন প্রচারে গেছি, আমি দেখিনি। আমাকে কেউ সাধুবাদও দেয়নি, বিক্ষোভও দেখায়নি। কোথাও মহিলারা বিক্ষোভ দেখায়নি।” তাঁর সংযোজন, “আমি জানি না ওঁকে (কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়) আলাদা করে কেউ কিছু বলেছে কিনা বা উনি আলাদা করে শুনেছেন কিনা।” পুরো বিষয়টি নিয়ে কি দলের শীর্ষ নেতৃত্বের দ্বারস্থ হবেন? জবাবে কাঞ্চনের প্রতিক্রিয়া, “এ নিয়ে আর কথাই বলব না। ওঁর সঙ্গে তো কোনও বাদানুবাদ হয়নি।”