সুমন করাতি, হুগলি: কাঞ্চন মল্লিককে প্রচারে যেতে 'বাধা' কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের! উত্তরপাড়ার বিধায়ককে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাংসদের বিরুদ্ধে। পুরো বিষয়টি নিয়ে এবার মুখ খুললেন তারকা বিধায়ক কাঞ্চন(Kanchan Mullick)। কল্যাণবাবু অভিযোগ করেছিলেন, কাঞ্চনকে দেখে গ্রামের মহিলারা 'রিঅ্যাক্ট' করেন। সেই দাবিও ওড়ালেন তিনি।
ফোনে সংবাদ প্রতিদিন ডট ইন-কে কাঞ্চন বলেন, "আমাকে নামিয়ে দেননি। আমি যখন উঠলাম তখন বললেন, 'গ্রামে প্রচারে যেও না। গ্রামের লোকেরা তোমাকে দেখলে রিঅ্যাক্ট করছে। সরি টু সে । আমাকে ভোটটা করতে দাও।' আমাকে বলেছে, আমি নেমে গেছি। কারণ দেখো, ওঁর ভোটপ্রচারের কী স্ট্র্যাটেজি জানি না।" একইসঙ্গে তাঁর দাবি,"দলীয় প্রচারে গেছি। লোকসভার প্রার্থীর প্রচারে গেছিলাম। বলেছেন নেমে যেতে, নেমে গেছি।"
[আরও পড়ুন: ইভিএম-ভিভিপ্যাট ১০০ শতাংশ মিলিয়ে দেখার দাবি, কমিশনের থেকে ব্যাখ্যা চাইল সুপ্রিম কোর্ট]
মহিলারা কী কাঞ্চনকে দেখে 'রিঅ্যাক্ট' করছেন? বিক্ষোভ করছেন তারা? সেই প্রশ্নের জবাবে উত্তরপাড়ার বিধায়ক বললেন, "উনি বলছেন রিঅ্যাক্ট করছেন। কিন্তু আমি যখন প্রচারে গেছি, আমি দেখিনি। আমাকে কেউ সাধুবাদও দেয়নি, বিক্ষোভও দেখায়নি। কোথাও মহিলারা বিক্ষোভ দেখায়নি।" তাঁর সংযোজন, "আমি জানি না ওঁকে (কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়) আলাদা করে কেউ কিছু বলেছে কিনা বা উনি আলাদা করে শুনেছেন কিনা।" পুরো বিষয়টি নিয়ে কি দলের শীর্ষ নেতৃত্বের দ্বারস্থ হবেন? জবাবে কাঞ্চনের প্রতিক্রিয়া, "এ নিয়ে আর কথাই বলব না। ওঁর সঙ্গে তো কোনও বাদানুবাদ হয়নি।" কবে পুরো বিষয়টিতে তিনি যে 'মনোক্ষুণ্ণ' তা কার্যত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে তৃণমূলের তারকা বিধায়কের কথায়।
প্রসঙ্গত, শ্রীরামপুরে ভোটপ্রচারে নেমেছেন বিদায়ী সাংসদ তথা তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার কোন্নগরের নবগ্রামে প্রচারে গিয়েছিলেন তিনি। হুডখোলা গাড়িতে তাঁর পাশে ছিলেন উত্তরপাড়ার তৃণমূলের তারকা বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক। হঠাৎই তাঁকে গাড়ি থেকে নেমে যেতে নির্দেশ দেন কল্যাণ। তাঁকে বলতে শোনা যায়, “আমাকে তো ইলেকশনটা করতে হবে ভাই। আমাকে ইলেকশনটা করতে হবে। তোমাকে আগেও বলেছি, গ্রামের দিকে প্রচারে এসো না। গ্রামের মহিলারা ভীষণ রিঅ্যাক্ট করছেন। এসো না প্লিজ।”