চন্দ্রজিৎ মজুমদার, কান্দি: শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের রোগ সারিয়ে দেওয়ার নাম করে লাখ খানেক টাকার সোনার গয়না হাতিয়ে চম্পট তান্ত্রিক ঘর জামাইয়ের। শেষপর্যন্ত বুজরুকি ধরা পড়তেই তারাপীঠের আস্তানা থেকে গুণধর জামাইকে ধরে আনেন শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। মঙ্গলবার সকালে পুলিশ খবর পেয়ে অভিযুক্ত জামাইকে আটক করে। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দির বড়ঞা থানা এলাকায়।
অভিযুক্তর নাম জগন্নাথ কর্মকার। বাড়ি হুগলি জেলার রিষড়া এলাকায়। গত পাঁচ-ছ’বছর ধরে তারাপীঠে নদীর পাশে একচালায় থাকতেন জগন্নাথ। সেখানে তিনি তন্ত্র সাধনা করতে বলে দাবি। এদিকে মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানার তালুঙা গ্রামের বাসিন্দা রাখি কর্মকার অভাবী পরিবারের সন্তান। সংসার টানতে তারাপীঠের বিভিন্ন হোটেলে কাজ করতেন। সেই সময় জগন্নাথের সঙ্গে পরিচয় হয়। আর সেই পরিচয় গড়ায় প্রেমে। তাঁরা বিয়েও করেন। সংসার পাততে রাখির সঙ্গে জগন্নাথ চলে আসেন বড়ঞা থানার তালুঙা গ্রামে। কিন্তু কথায় আছে, ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে!
[আরও পড়ুন: চোখে চোখে কথা বলো…! ভারচুয়াল শুনানিতে প্রকাশ্যেই ‘প্রেমালাপ’ পার্থ-অর্পিতার]
তালুঙা গ্রামেও জগন্নাথ তন্ত্র সাধনার ফাঁদ পেতে বসে। রোগ সারিয়ে দেওয়ার নামে স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের কাছ থেকে মোট ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার সোনার গয়না হাতান তিনি। এর মধ্যে রাখির দু জোড়া কানের দুল, ১টি সোনার হার, পিসি শাশুড়ির দুটি চাবির তোড়া ও আংটি হাতিয়ে চম্পট দেন। মাস পাঁচ-ছয়েক হদিশ ছিল না তাঁর। শেষপর্যন্ত খবর পেয়ে তারাপীঠের সেই একচালা থেকে জগন্নাথকে পাকড়াও করে শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। দোষ স্বীকার করে নিয়ে জগন্নাথ জানান, “আমি ওঁদের কাছে বারবার সময় চেয়েছি, যা সোনা দানা নিয়েছি সবই ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু ওরা আমার কথা শুনছে না। আমাকে আটকে রেখে জোর জবরদস্তি করছে আমি অন্যায় করেছি এটি সত্য।” সারা রাত তাঁকে আটকে রাখা হয়। পরে সকালে খবর পেয়ে পুলিশ এসে তান্ত্রিক জামা-সহ আরও দুজনকে আটক করে।