সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথমবার ভোটের ময়দানে। হিমাচল প্রদেশের মাণ্ডি কেন্দ্র থেকে বিজেপির তুরুপের তাস কঙ্গনা রানাউত (Kangana Ranaut)। ‘ক্যুইন’-এর বিরুদ্ধে কংগ্রেসের তরফে লড়ছেন সেখানকার ‘রাজপুত্র’ বিক্রমাদিত্য সিং। যাঁর পারিবারিক রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ডও বেশ পোক্ত। মা-বাবা দুজনেই হেভিওয়েট রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত হিমাচলে। ফিল্মিদুনিয়ার মতো রাজনীতির ময়দানেও তাঁর পিছু ছাড়েনি ‘নেপো কিড’! অতঃপর মাণ্ডির পিচে কঙ্গনার লড়াই যে বেশ চ্যালেঞ্জের, তা বলাই বাহুল্য। যদিও প্রচারের ময়দানে ‘রাজা’কে নিত্যদিন গরম সংলাপে কিস্তিমাত দিচ্ছেন ‘ক্যুইন’, তবুও দিন কয়েকের প্রচারেই ফিল্মি দুনিয়ার 'মাহাত্ম্য' বুঝে গিয়েছেন অভিনেত্রী।
কঙ্গনা বলছেন, "সিনেমা তৈরি করার ফিল্মি স্ট্রাগল তো ভোটপ্রচারের কাছে কিছুই না!" চব্বিশের লোকসভার শেষ দফায় ১ জুন মাণ্ডিতে ভোট। তার প্রাক্কালেই ময়দানে আদা-জল খেয়ে নিত্যদিন দৌড়চ্ছেন কঙ্গনা রানাউত। জনসভার ভিডিও শেয়ার করে অভিনেত্রী তথা পদ্মপ্রার্থীর মন্তব্য, "ছয় ছয়টা জনসভা, দলীয় কর্মী-সদস্যদের সঙ্গে একগুচ্ছ বৈঠক, আলাপচারিতা আর একদিনে হিমাচলের প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকায় ৪৫০ কিমি সফরের পর আমি ক্লান্ত। এমনকী দুপুরে-বিকেলে ঠিক করে খাওয়ার সময়ও পাচ্ছি না। রাতেও গাড়িতে জার্নি করার সময়ে ভাবছিলাম, এমন ব্যস্ততার কাছে ফিল্মি স্ট্রাগল তো একটা ঠাট্টা-মশকরা ছাড়া কিছুই নয়।"
[আরও পড়ুন: ভোট মিটলেই বিদেশে ‘ডেস্টিনেশন ওয়েডিং’ বনি-কৌশানীর, প্রস্তুতি তুঙ্গে]
অন্যদিকে আবার এক সাক্ষাৎকারে, বলিউড 'ক্যুইন'-এর মন্তব্য, "ভোটে জিতলে, আমি ধীরে ধীরে বলিউড ছেড়ে দেব।" এদিকে দীর্ঘদিন হল কঙ্গনার ফিল্মি কেরিয়ারে খরা চলছে। বহুদিন কোনও হিটের মুখ দেখেননি অভিনেত্রী। এমনকী চলতি লোকসভা ভোটের ব্যস্ততার জন্য পিছিয়ে গিয়েছে তাঁর বহু প্রতীক্ষিত সিনেমা 'এমার্জেন্সিও'। যার জেরে ‘ফ্লপের পাহাড়ে’র খোঁটাও শুনতে হয়েছে তাঁকে! এদিকে রাজনীতির মাঠে নবাগতা কঙ্গনা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন 'স্ট্রাগল' কাকে বলে? তবে প্রচারে গিয়ে বেশ ভালো সাড়া পাচ্ছেন স্থানীয়দের তরফে। ভূমিপুত্রীর ঝাঁজ দেখে মাণ্ডির আট থেকে আশির মুখে হাসি। রাজনীতিক বিশেষজ্ঞদের অনুমান, সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে এবার বিক্রমাদিত্যকে হারিয়ে কঙ্গনাই জিতবেন।