সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশাত্ববোধক ছবিতে অভিনয় করেও ফেরেনি কপাল! বিতর্ক পেরিয়ে বক্স অফিসেও সুপারহিট মার্কশিট অধরা। লাগাতার ফ্লপের ঠেলায় ফিল্মি কেরিয়ার একেবারে ভাঁড়ে মা ভবানী পরিস্থিতি! বক্স অফিসে ‘তেজস’ (Tejas) মুখ থুবড়ে পড়তেই এবার কঙ্গনা রানাউতের (Kangana Ranaut) প্রচারের অস্ত্র নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)।
শনিবার তেজস ফাইটারে সওয়ার হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ওই যুদ্ধবিমানে প্রায় ৪৫ মিনিটের উড়ানে শামিল হতে দেখা যায় তাঁকে। বেঙ্গালুরুর হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডের দপ্তর থেকে যুদ্ধবিমানের পাইলটের পোশাকে মোদির ছবি-ভিডিও ভাইরাল হতেই সুযোগ বুঝে আসরে নামলেন কঙ্গনা রানাউত। ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ‘তেজস’ মুক্তি পাওয়ার আগে আরও একবার প্রচার সেরে নিলেন।
ইনস্টা স্টোরিতে যুদ্ধবিমানে সওয়ারি মোদির ছবি শেয়ার করে কঙ্গনা রানাউতের মন্তব্য, “ইশ! মোদিজি যদি আমার ‘তেজস’ ছবিটা দেখতেন। এই ছবিতে তো আমাদের দেশের যুদ্ধবিমান তেজস এবং বীর জওয়ানদের কাহিনিই দেখানো হয়েছে। যাঁরা প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে দেখে উঠতে পারেননি, তাঁদের জন্য খুব শিগগিরিই আসছে জি ফাইভ এবং সোনি লাইভে।”
প্রসঙ্গত, লাভের মুখ দেখা তো দূরঅস্ত, গোটা মূলধনের টাকাও ঘরে তুলতে ব্যর্থ হয়েছে ‘তেজস’। রনি স্ক্রিওয়ালা প্রযোজিত এই ছবি গত ২৭ অক্টোবর রিলিজ করেছিল। তবে মাত্র ৪.২৫ কোটি টাকা আয় করেই থেমে গিয়েছে ‘তেজস’-এর দৌড়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, রিলিজের এক সপ্তাহের মাথাতেই টিম টিম করে জ্বলা ‘তেজস’-এর শো প্রেক্ষাগৃহ থেকে উঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিল হল কর্তৃপক্ষরা। সিনেমা হলে ব্যবসা করতে না পারলেও এবার কঙ্গনার ‘পাখির চোখ’ ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। মুক্তির আগেই তাই নরেন্দ্র মোদিকে প্রচারের অস্ত্র বানালেন অভিনেত্রী।
[আরও পড়ুন: ভীড়ে চিড়েচ্যাপ্টা ভিকি কৌশল, তবুও বৃদ্ধার পা ছুঁয়ে প্রণাম! নেটপাড়ার মন কাড়লেন ‘পাঞ্জাবি পুত্তর’]
সূত্রের খবর, ৭০ কোটি টাকা ব্যয় করে এই সিনেমা তৈরি হয়েছে। তবে দেশে আয় করতে পারেনি সেভাবে। বিদেশের মাটিতে ৭০ লক্ষ টাকার ব্যবসা করতে পেরেছে। ‘তেজস’-এর ওটিটি স্বত্ব, স্যাটেলাইট এবং মিউজিক স্বত্ব বিক্রি করে সবমিলিয়ে প্রযোজকের ঘরে ঢুকেছে ১৭ কোটি টাকা। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে ডিস্ট্রিবিউটার মারফৎ এই ছবির বক্স অফিস কালেকশন ২.২৩ কোটি টাকা। শুধু যে প্রযোজকের কপালে ভাঁজ পড়েছে তাই নয়, সিনেমার এহেন ব্যবসায়িক অঙ্ক কঙ্গনা রানাউতের ফিল্মি কেরিয়ারের জন্যও উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন সিনে বাণিজ্য বিশ্লেষকরা।