সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কঙ্গনা যে বাংলো ভাঙার ক্ষতিপূরণ দাবি করবেন, দিন দুয়েক আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস আঠাওয়ালের (Ramdas Athawale) সঙ্গে সাক্ষাতের পরই সেকথা শোনা গিয়েছিল। মঙ্গলবার তাতে সিলমোহর পড়ল। এদিন বৃহন্মুম্বই পুরসভার (BMC) কাছ থেকে ক্ষতিপূরণস্বরূপ ২ কোটি টাকা চেয়ে বম্বে হাইকোর্টে পিটিশন জমা দিলেন কঙ্গনা রানাউত (Kangana Ranaut)।
মুম্বই প্রশাসনের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত সম্পত্তি নষ্ট করার অভিযোগ তুলে দু’কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে বম্বে হাই কোর্টের দ্বারস্থ কঙ্গনা। তাঁর অভিযোগ, পালি হিলসের বাংলোর ৪০ শতাংশ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ঝাড়বাতি, বহুমূল্য আসবাব-সহ প্রচুর শিল্পকর্মও নষ্ট করা হয়েছে বলে বম্বে হাই কোর্টে জমা দেওয়া আবেদনপত্রে উল্লেখ করেছেন কঙ্গনা।
গত বৃহস্পতিবার কঙ্গনার আইনজীবী রিজওয়ান সিদ্দিকি উচ্চ আদালতে জানান, অফিস ভাঙা রুখতে তড়িঘড়ি আবেদন করেছিলেন কঙ্গনা। সেই আরজি এবার সংশোধন করতে চান তিনি। ২৯ পাতার আগের সেই পিটিশনের বদলে এবার মোট ৯২ পাতার নতুন পিটিশন বম্বে হাইকোর্টে মঙ্গলবার জমা দিয়েছেন রিজওয়ান। তাতে অভিযোগ তোলা হয়েছে, ৯ সেপ্টেম্বর সকাল ১০.৩৫ মিনিটে ওই বাংলো ভাঙার নোটিস ঝোলানো হয়েছিল। তার আগেই পুলিশ ও পুরকর্মীরা বুলডোজার নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন। অর্থাৎ আগেভাগেই সব পরিকল্পনা করে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ কঙ্গনার। কারণ, ১০টা ১৯ মিনিটে অভিনেত্রী যে টুইটটি করেছিলেন, তার ছবিতেই স্পষ্ট যে বিএমসির কর্মীরা বুলডোজার নিয়ে প্রস্তুত অফিস ভাঙার কাজে।
[আরও পড়ুন: ৭০ বছরের ইতিহাসে প্রথম ICCR-এর সঙ্গে যুক্ত সিনেজগৎ, প্রতিনিধিত্ব করবেন বিবেক অগ্নিহোত্রী]
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার রাতেই টুইট করে কঙ্গনা জানিয়েছিলেন যে, গত ১৫ জানুয়ারি নতুন অফিসের উদ্বোধন করেছিলেন তিনি। করোনা আবহে কাজ বন্ধ থাকায় সবার মতো তিনিও লোকসানের মুখ দেখছেন। অতঃপর বর্তমানে এহেন আর্থিক সমস্যায় অফিস পুনর্নির্মাণ করার মতো অর্থ তাঁর নেই। তাই একপ্রকার হুংকার দিয়েই মন্তব্য করেছিলেন, “ভাঙা অফিস এরকমই থাকবে। ঠিক করব না। ধ্বংসস্তূপ রেখে দেব চিহ্ন স্বরূপ।” এবার সেই অফিস পুননির্মাণের জন্যই বিএমসির কাছ থেকে কোটি টাকা আদায় করতে মরিয়া কঙ্গনা।
বান্দ্রার পালি হিলে ৫ নম্বর বাংলোতে কঙ্গনার অফিস ‘মণিকর্ণিকা ফিল্মস’। অবৈধভাবে এই বাংলো তৈরি করার অভিযোগ তুলে গত ৭ সেপ্টেম্বর অভিনেত্রীকে নোটিস ধরায় বিএমসি। নোটিসে বলা হয়েছিল যে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তথ্য-প্রমাণস্বরূপ কাগজপত্র দেখাতে না পারলে ভেঙে দেওয়া হবে কঙ্গনার অফিস। করাও হল তাই। অভিনেত্রী মুম্বইতে পা রাখার আগেই বাংলো ভাঙার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছিল। যার জেরে বিতর্কও কম হয়নি। বিনোদন ইন্ডাস্ট্রি থেকে রাজনৈতিক মহল উত্তাল হয়ে উঠেছিল।
ওদিকে পুর কর্তৃপক্ষের দাবি ছিল, কঙ্গনার তরফে কোনও জবাব না পেয়েই ৯ সেপ্টেম্বর বাংলো ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ওই দিনই বুলডোজার দিয়ে বাংলো ভাঙতে শুরু করেন বৃহন্মুম্বই পুরসভার কর্মী-আধিকারিকরা। বাইরে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশবাহিনী। শেষ পর্যন্ত বম্বে হাইকোর্ট (Bombay High Court) কঙ্গনার অফিস ভাঙার উপর আগামী ২২ তারিখ অবধি স্থগিতাদেশ দেয়। এবার ২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে বৃহন্মুম্বই পুরসভার বিরুদ্ধে বম্বে হাইকোর্টে গেলেন কঙ্গনা রানাউত।
[আরও পড়ুন: মাদকের নামে বলিউডকে অপমান! কঙ্গনাকে ‘কোণঠাসা’ করে জয়ার পাশে তাপসী-সোনমরা]
The post বাংলো ভাঙার ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২ কোটি টাকা দিক BMC, দাবি তুলে বম্বে হাই কোর্টে কঙ্গনা appeared first on Sangbad Pratidin.