সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিস্ফোরক অভিযোগ ওয়াজিদ খানের (Wajid Khan) স্ত্রী কমলরুখের। অকালপ্রয়াত বলিউডের সুরকারের স্ত্রী অভিযোগ জানিয়েছেন, তিনি পার্সি হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে জোর করে ধর্মান্তরিত হতে চাপ দেওয়া হয়েছিল। ‘লাভ জেহাদ’ নিয়ে দেশের সরগরম আবহে তাঁর এমন অভিযোগের পরই টুইট করলেন কঙ্গনা। সেই টুইটে তিনি ট্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরকেও। আওয়াজ তুললেন পার্সিদের মতো সংখ্যালঘুদের সংরক্ষণের জন্য।
আজ সকালে করা একাধিক টুইটে কঙ্গনা প্রশ্ন তোলেন, যে সংখ্যালঘুরা অন্যের শিরশ্ছেদ করে না, দাঙ্গা বাঁধায় না, জোর করে ধর্মান্তকরণ কিংবা ‘নাটক’ করে অন্যের সহানুভুতি আদায়ের চেষ্টা করে না তাদের কীভাবে রক্ষা করা হবে? দেশে পার্সিদের সংখ্যার ক্রমশ যাচ্ছে বলে আশঙ্কাও প্রকাশ করেন অভিনেত্রী। পার্সিদের ‘সংবেদনশীল’ বলে উল্লেখ করে তিনি জোর করে ধর্মান্তকরণ বিরোধী আইন আনার দাবি জানিয়েছেন।
[আরও পড়ুন : গ্ল্যামারের দেখনদারি ছাড়া আর কিছুই নেই, মন ভরাল না ‘ফ্যাবিউলাস লাইভস অফ বলিউড ওয়াইভস’]
কমলরুখের অভিযোগ ঠিক কী? তিনি ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘‘আমি পার্সি আর ও মুসলিম। কলেজ থেকেই আমাদের প্রেম। আমাদের বিয়েটা হয়েছিল স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টে।’’ কিন্তু বিয়ের পর থেকেই বিপত্তির শুরু বলে দাবি তাঁর। কমলরুখের কথায়, ‘‘আমার স্বাধীনতা, শিক্ষা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ধারণাই আমার স্বামীর পরিবারের কাছে বিরাট সমস্যার হয়ে উঠেছিল।’’ তাঁকে ধর্মান্তকরণের জন্য লাগাতার চাপ দেওয়া হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে কীভাবে ওয়াজিদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের সংঘাত তৈরি হয়েছিল, সেকথাও উল্লেখ করেন কমলরুখ। এমনকী, ওয়াজিদের মৃত্যুর পরেও তাঁকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের জন্য প্রবল চাপ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। নিজের জীবনের এই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে তিনি প্রবল ভাবে এই সংক্রান্ত আইন আনার পক্ষে সওয়াল করেছেন।
হরিয়ানার বল্লভগড়ে ধর্ম বদলে রাজি না হওয়ায় প্রকাশ্যে এক যুবতীকে গুলি করে খুন করার অভিযোগ ওঠে এক যুবকের বিরুদ্ধে। তারপরই দেশজুড়ে লাভ জেহাদ নিয়ে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশে ‘লাভ জেহাদ’ বিরোধী বিলে সম্মতি দিয়েছেন রাজ্যপাল। অন্যান্য বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিও জানিয়েছে, শীঘ্রই এই সংক্রান্ত আইন আনতে চলেছে তারা।