সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘নামে কী যায় আসে?’… শেক্সপীয়র অনেক আগেই বলেছিলেন। এবার ‘ইন্ডিয়া’ নাম নিয়ে তোলপাড় ভারতের রাজ্য-রাজনীতি! জি-২০ সম্মেলনের আমন্ত্রণপত্র থেকেই জল্পনার সূত্রপাত। কারণ, রাইসিনা হিলের তরফে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে জি-২০ সম্মেলন উপলক্ষে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে। সেখানে ইংরেজিতে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া’র (President of India) পরিবর্তে লেখা ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’ (President of Bharat)। যা নিয়ে নতুন করে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রবল আপত্তি তুলেছে কংগ্রেস। এবার সেই প্রেক্ষিতেই মুখ খুললেন কঙ্গনা রানাউত।
মঙ্গলবারই অমিতাভ বচ্চনের ‘ভারত মাতা কী জয়’ স্লোগান ঘিরে নেটপাড়ায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। অনেকেরই ধারণা, মোদি সরকারের এই প্রস্তাবে সায় দিয়েই হয়তো বিগ বির এমন টুইট। এবার নামবদলের প্রস্তাব নিয়ে কঙ্গনার টুইট। অভিনেত্রী বলছেন, “অনেকেই হয়তো ব্ল্যাক ম্যাজিক বলবেন…। আমি তো ২ বছর আগেই বলেছিলাম। তবে এটা তো খুব সাধারণ। সকলকে শুভেচ্ছা। দাসত্বের নাম ঘুচল এবার। জয় ভারত।” এখানেই অবশ্য থামেননি তিনি।
এর পাশাপাশি কঙ্গনার সংযোজন, “এই নামকে এত ভালবাসার কী আছে জানি না? ওরা প্রথমে সিন্ধু উচ্চারণ করতে পারত না বলে বিকৃতি করে ইন্ডাস নাম করে দিয়েছে। পরে কখনও হিন্দোস আবার কখনও ইন্ডোস বলে গোল গোল করে যা হোক একটা নাম রেখে দিয়েছে। সেই মহাভারত-এর সময় থেকেই, যেসব রাজ্যগুলো কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন তারা সকলে একটাই সাম্রাজ্যের মানুষ ছিলেন- সেটা ছিল ভারত। তাহলে কেন ব্রিটিশরা ইন্দু-সিন্ধু বলে ডাকত।”
[আরও পড়ুন: নুসরতের পর ইডির তলব করা কে এই রূপলেখা? টলিউডের কতটা গভীরে শিকড় এই নায়িকার?]
কঙ্গনা এও বলেন যে, “ভারত নামটা অর্থবহ। ইন্ডিয়া নামের কী মানে? হ্যাঁ, ওরা হয়তো পুরনো ইংরেজির জন্য রেড ইন্ডিয়ান বলে ডাকে! ওদের কাছে ইন্ডিয়ান মানে দাস ছাড়া কিছুই নয়। ব্রিটিশরাই এই নাম রেখেছে। এমনকী পুরনো অভিধান খুঁজলেও পাওয়া যাবে যে, ইন্ডিয়ান শব্দের অর্থ দাস লেখা। তবে পরে পরিবর্তন করে ফেলে। আর আমরা সকলে ভারতীয়, ইন্ডিয়ানস নই।”