সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশের সঙ্গে কৃষক আন্দোলনের তুলনা টেনে ফের বিস্ফোরক মান্ডির বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রানাউত। তাঁর অভিযোগ, যে ঘটনা বাংলাদেশে ঘটেছে তা ভারতেও হতে পারত, যদি না আমাদের সরকার সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নিত। তাঁর অভিযোগ বাংলাদেশের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। লাগাতার খুন, মহিলাদের ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটেছে আন্দোলন চলাকালীন। কৃষকদের নিয়ে কঙ্গনার বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদে সরব হয়েছে কংগ্রেস।
মোদি সরকারের পাশ করা তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালে বড়সড় আন্দোলনে নেমেছিলেন দেশের কৃষকরা। রীতিমতো চাপের মুখে পড়ে বাধ্য হয়েই সেই আইন প্রত্যাহার করে নেয় সরকার। এর আগে একাধিকবার এই আন্দোলনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা। রবিবার সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অতীতের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, "সরকার আইন প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর কৃষকরা ভাবতেই পারেনি এত সহজে বিষয়টা মিটে যাবে। ওই উগ্রপন্থীরা বড়সড় ও দীর্ঘ ষড়যন্ত্র করেছিল। যেমনটা বাংলাদেশে হয়েছে। আইন প্রত্যাহারের পর এখনও ওরা ওখানে বসে রয়েছে।" এর পরই কঙ্গনা বলেন, "কৃষকদের নামে আসলে বিদেশি শক্তি ভারতে কাজ করছিল। দেশ চুলোয় যাক, কিছু মানুষ এই আন্দোলনকে হাতিয়ার করে ফায়দা তুলতে চাইছিল। কিন্তু ওদের বোঝা উচিত, দেশ চুলোয় গেলে দেশবাসীও চুলোয় যাবে।''
[আরও পড়ুন: কর্নাটকে অপারেশন লোটাস! ‘বিধায়ক কিনতে ১০০ কোটির প্রস্তাব’, বিস্ফোরক কংগ্রেস]
কঙ্গনার এহেন মন্তব্যের পালটা কড়া ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছে কংগ্রেস। এক্স হ্যান্ডেলে অভিনেত্রী সাংসদকে তোপ দেগে কংগ্রেস নেত্রী সুপ্রিয়া শ্রীনাতে লেখেন, "বিজেপি সাংসদ কঙ্গনার দেবী সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন কৃষক আন্দোলন বাংলাদেশের মতো দীর্ঘ পরিকল্পনা নিয়ে করা হয়েছিল। এর পিছনে চিন ও আমেরিকার হাত রয়েছে। কঙ্গনা যে মন্তব্য করেছেন এটা কী তাঁর ব্যক্তিগত মন্তব্য না কী বিজেপি সরকারের মত? বিজেপি সরকারও কি মনে করে চিন ও আমেরিকা ভারতে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছে? যদি বিদেশি শক্তি দেশের আভ্যন্তরিন বিষয়ে অনধিকার হস্তক্ষেপ করে থাকে তাহলে এ বিষয়ে সরকার কী পদক্ষেপ নিচ্ছে?
[আরও পড়ুন: রেল লাইনে মাথা রেখে ‘মরণ ঘুম’! ট্রেন থামিয়ে ‘কুম্ভকর্ণ’কে জাগালেন চালক]
সুপ্রিয়া আরও বলেন, "বিজেপি নেতারা ইতিমধ্যেই কৃষকদের সম্পর্কে অনেক কুমন্তব্য করেছেন। এখন তাদের সাংসদরাও অন্নদাতাদের খুনি ও ধর্ষক বলছেন। তবে এর জবাব আমরা নয়, কিছুদিনের মধ্যে হরিয়ানা ওদেরকে দেবে। কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে বিজেপি ও সরকারকে জবাব দিতে হবে। যদি তা না হয়, তাহলে এই সাংসদের কান ধরে ক্ষমা চাওয়া উচিত।"