সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চরবৃত্তির অভিযোগে ৮ বছর পাকিস্তানের জেলে কাটিয়ে অবশেষে উত্তরপ্রদেশের বাড়িতে ফিরলেন ৭০ বছরের এক বৃদ্ধ। দিওয়ালির মতো আনন্দময় পরিবেশে এই ধরনের ঘটনা ঘটার ফলে খুশির আমেজ ছড়িয়েছে ওই বৃদ্ধের প্রতিবেশীদের মধ্যে। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের কানপুর (Kanpur) সংলগ্ন একটি গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় জুতো তৈরির কাজ করতেন কানপুর সংলগ্ন একটি গ্রামের বাসিন্দা সামসুদ্দিন (Shamsuddin)। ২০১২ সালে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে পাকিস্তানে গ্রেপ্তার হন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে জাল পাসপোর্ট নিয়ে সেখানে যাওয়ার অভিযোগও ওঠে। পরে আদালতে দোষী সাব্যস্ত করে তাঁকে আট বছরের জন্য জেলে পাঠায় পাকিস্তানের আদালত। অক্টোবর মাসে তার মেয়াদ শেষ হতেই ভারতে ফিরে আসেন সামসুদ্দিন। গত ২৬ তারিখ আটারি-ওয়াঘা (Attari-Wagah) সীমান্তে দিয়ে ভারতে ফেরার পর অমৃতসরের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ছিলেন। সেখান থেকে রবিবার বাড়ি ফেরার তাঁকে দেখে আনন্দে চোখের জল ধরে রাখতে পারেনি মেয়েরা। তাঁর বোন তো আবার কাঁদতে কাঁদতে অজ্ঞান হয়ে যান।
[আরও পড়ুন: উৎসবের মরশুমে স্বস্তির খবর, নতুন সপ্তাহে দেশে দৈনিক করোনা সংক্রমণের গ্রাফ নিম্নমুখী]
এপ্রসঙ্গে আট বছর পাকিস্তানের জেলে কাটিয়ে আসা সামসুদ্দিন বলেন, ‘আমাদের কাছে এই দিওয়ালি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমার মেয়েও এই দিওয়ালির দিন জন্মগ্রহণ করেছিল। আজ তাঁর প্রার্থনা পূরণ হয়েছে।’
কয়েকদিন আগে একই ঘটনা ঘটেছিল ওড়িশার এক প্রৌঢ় বিরজু কুলুর জীবনেও। চরবৃত্তির মিথ্যে অভিযোগ দিয়ে তাঁকে দীর্ঘ ২০ বছর জেলবন্দি করে রেখেছিল পাকিস্তানের সরকার। লাহোরের জেলের সেই দুর্বিষহ জীবন কাটিয়ে অবশেষে ভারতে ফিরেছেন তিনি। আসলে অভিযোগের স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ না থাকায় তাঁকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে ইমরানের প্রশাসন। পঁচিশ বছর বয়সে কাউকে কিচ্ছুটি না জানিয়ে ওড়িশার সুন্দরগড় জেলার বাসিন্দা বিরজু চলে যান রাঁচি। সেখানে একটি হোটেলে চাকরিও জোগাড় করে নেন। কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যে সেখান থেকেও অদৃশ্য হয়ে যান তিনি। হোটেলের মালিক খবর দেন বিরজুর পরিবারকে। সবাই মিলে সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজ করলেও বিরজুর সন্ধান মেলেনি। পরে জানা যায়, গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে তাঁকে জেলবন্দি করেছে পাকিস্তানের সরকার।