সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুরুতর অসুস্থ ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার অংশুমান গায়কোয়াড়। তিনি শচীন তেণ্ডুলকরদের হেডস্যরও ছিলেন। অংশুমান গায়কোয়াড়ের শরীরে থাবা বসিয়েছে ক্যানসার। চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ নেই তাঁর কাছে। গায়কোয়াড়ের অসুস্থতার খবরে ব্যথিত ৮৩-র বিশ্বজয়ী অধিনায়ক কপিল দেব। পেনশনের অর্থ গায়কোয়াড়ের চিকিৎসার জন্য ব্যয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডকে এগিয়ে আসার অনুরোধ করেছেন কপিল। তিনি বলেছেন, ''অংশুর চিকিৎসার জন্য নিজের পেনশন দিতেও আমি প্রস্তুত।''
টেস্ট ও ওয়ানডে মিলিয়ে কপিল ও অংশুমান গায়কোয়াড় একসঙ্গে খেলেছেন ৩৪টি ম্যাচ। প্রাক্তন সতীর্থের অসুস্থতার খবরে উদ্বিগ্ন কপিল। তিনি বলেছেন, ''অত্যন্ত দুঃখের খবর। অংশুর সঙ্গে আমি একসঙ্গে খেলেছি। আমিও ব্যথিত। কেউই যেন কষ্ট না পায়। কাউকে যেন ভুগতে না হয়। আমি জানি বোর্ড অংশুর পাশে এসে দাঁড়াবে। অংশুর জন্য যে কোনও সাহায্য সরাসরি হৃদয় থেকে আসা উচিত। নৃশংস সব বোলারের সামনে দাঁড়িয়ে লড়ে গিয়েছে অংশু। নাকে-মুখে বলের আঘাত পেয়েছে। ওর পাশে দাঁড়ানোর এটাই আসল সময়। ক্রিকেটপ্রেমীরা ওর আরোগ্য কামনা করুক।''
[আরও পড়ুন: লিগের ডার্বির শতবর্ষ, গোল ধরে রাখাই চ্যালেঞ্জ মোহনবাগান কোচ কার্ডোজোর]
এক বছরের বেশি সময় ধরে ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত অংশুমান গায়কোয়াড়। লন্ডনের কিংস কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁর। গায়কোয়াড়কে দেখতে লন্ডনে গিয়েছিলেন প্রাক্তন সতীর্থ সন্দীপ পাটিল। লন্ডন থেকে ফেরার পরে অংশুমান গায়কোয়াড়ের শারীরিক অবস্থা নিয়ে দৈনিক মিড ডেতে কলামও লেখেন সন্দীপ পাটিল।
১৯৭৪ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত দেশের হয়ে ৪০টি টেস্ট ও ১৫টি ওয়ানডে খেলেন গায়কোয়াড়। ভারতীয় দলের কোচও ছিলেন তিনি। তাঁর কোচিংয়ে ভারত ২০০০ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে রানার্সআপ হয়। তাঁর কোচিংয়ে শারজায় অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারতীয় দল।
কপিল বলছেন, ''দুর্ভাগ্যক্রমে আমাদের অর্থ সংগ্রহের কোনও ব্যবস্থা নেই। এখনকার প্রজন্ম অর্থ পাচ্ছে, এটা দেখতেও ভালো লাগে। সাপোর্ট স্টাফরাও আর্থিক দিক থেকে লাভবান হচ্ছেন। আমাদের সময়ে বোর্ডের কাছে টাকা ছিল না। এখন বোর্ড আর্থিক দিক থেকে অনেক শক্তিশালী। প্রাক্তন ক্রিকেটারদের পাশে থাকা উচিত বোর্ডের।'' কপিল একনিঃশ্বাসে বলে চলেন, ''আমজনতা কোথায় টাকা পাঠাবে? যদি একটা ট্রাস্ট গঠন করা হয়, তাহলে সেখানে টাকা রাখা যেত। কিন্তু আমাদের সেই ব্যবস্থা নেই। আমার মনে হয় বিসিসিআই সেই দিকে নজর দেবে। আমরাও নিজেদের পেনশন দিতে প্রস্তুত।''