সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘দাদা, একটা বুড়ো সাধু আছে?’ না, কোনও সাধু-সন্ন্যাসী নয়, ক্রেতা চাইছেন একখানি ওল্ড মঙ্ক রামের বোতল। এ দেশের ‘রাম-ভক্ত’রা ওল্ড মঙ্ককে সাধারণত এ নামেই ডাকেন। আর যাঁরা রামের ভক্ত, তাঁরাই এর মহিমা বোঝেন। হাজার রকম রামের ব্র্যান্ড বাজারে মিললেও বুড়ো সাধুই প্রথম পছন্দ তাঁদের। আর সেই ওল্ড মঙ্কের জন্মদাতাই জীবন থেকে বিদায় নিলেন।
গত ৬ জানুয়ারি প্রয়াত হলেন মোহন মেকিন লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও এমডি তথা ওল্ড মঙ্কের নির্মাতা কপিল মোহন। বেশ কয়েকদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত কারণে ভুগছিলেন তিনি। অবশেষে ৮৮ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চলে গেলেন। গত ৭ জানুয়ারি তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
[এই হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় সরষের তেল থেকে দূরে থাকুন]
ডায়ার মেকিন কোম্পানির দায়িত্ব নেওয়ার পর ব্র্যান্ডের সংজ্ঞাই পালটে দিয়েছিলেন কপিল মোহন। ১৯৫৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর আত্মপ্রকাশ করে ওল্ড মঙ্ক। তারপর থেকে ক্রমেই কোম্পানির নাম-ডাকও যেমন বাড়তে শুরু করে, তেমনই গোটা দেশে তৈরি হয় এর বেশ কিছু ফ্র্যাঞ্চাইজি। আর ক্রেতাদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হল, এর মূল্য। অন্যান্য ব্র্যান্ডের রামের তুলনায় এ দেশে ওল্ড মঙ্কের দাম অত্যন্ত সস্তা। আর স্বাদ? যাঁরা একবার বুড়ো সাধুর প্রেমে পড়েন, তাঁরা আর অন্য কোনও স্বাদ পেতে আগ্রহই দেখান না। সবচেয়ে মজার বিষয় হল, ওল্ড মঙ্ক, সোলান নম্বর ওয়ান ও গোল্ডেন ঈগলের মতো মদগুলি তৈরির নেপথ্যে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত এই ব্যক্তির মস্তিষ্ক থাকলেও তিনি নিজে কখনও মদ্যপান করেননি। নিজের কোম্পানিতে আর একটি বিষয় চালু করেছিলেন কপিল মোহন। তিনি তাঁর প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন। একাধিক কীর্তির অধিকারীর অবশেষে জীবনবাতি নিভল। রাম প্রস্তুতকারক ছাড়াও ব্রেকফাস্টের খাবার, ফলজাতীয় প্রোডাক্ট ও ফলের রসও তৈরি করে এই কোম্পানি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল-এর এই প্রতিবেদন পাঠককে মদ্যপানে উৎসাহ দেওয়ার জন্য নয়। শুধুমাত্র খবরটি তুলে ধরাই আমাদের কাজ।
[মদ্যপান ছাড়ুন, তাহলেই শরীরে আসবে এই পরিবর্তনগুলি]
The post জীবনকে বিদায় জানালেন ‘ওল্ড মঙ্ক’-এর জন্মদাতা appeared first on Sangbad Pratidin.