সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে বিক্রি হতে চলেছে কাপুর পরিবারের অন্যতম ঐতিহ্যশালী সম্পত্তি আর কে স্টুডিও। অভিনেতা ঋষি কাপুর এ খবর নিশ্চিত করে জানান, পরিবারের সকলের মত নিয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আর কে ফিল্মসের প্রযোজনায় তৈরি হয়েছিল বরসাত (১৯৪৯), আওয়ারা (১৯৫১), বুট পোলিশ (১৯৫৪), শ্রী ৪২০ (১৯৫৫), জাগতে রহো’র (১৯৫৬) মতো সুপারহিট ছবিগুলি। এছাড়া জিস দেশ মে গঙ্গা বেহতি হ্যায় (১৯৬০), মেরা নাম জোকার (১৯৭০), ববি (১৯৭৩), সত্যম শিবম সুন্দরম, রাজ কাপুরের শেষ ছবি রাম তেরি গঙ্গা ময়লি-র মতো একগুচ্ছ ব্লকবাস্টার সিনেমার শুটিং হয়েছিল এই স্টুডিওতেই। তাই এই জায়গার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে কাপুর পরিবারের নানা স্মৃতি। তাহলে কেন এমন সিদ্ধান্ত?
[‘ইন্ডিয়ান আইডল’ হেনস্তার প্ল্যাটফর্ম, বিস্ফোরক অভিযোগ প্রাক্তন প্রতিযোগীর]
আসলে গত বছর সেপ্টেম্বরে ভয়াবহ আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল মুম্বইয়ের এই নামজাদা স্টুডিও। আগুনে ভষ্মীভূত হয়ে যায় বহু পোশাক এবং দামি সরঞ্জাম। ঋষি কাপুর জানান, সেই ঘটনার পর প্রথমে ঠিক হয়েছিল, অগ্নিকাণ্ডে ঝলসে যাওয়া আর কে স্টুডিওকে ফের ঢেলে সাজানো হবে। কিন্তু তাতেও লাভের মুখ দেখার কোনও আশা ছিল না। তারপর একটা সময় ঠিক হয় অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ফের নতুন করে তৈরি করা হবে এর পরিকাঠামো। কিন্তু ছাই ঘেঁটে তো আর অট্টালিকা তৈরি করা সম্ভব হয় না! তাই নানা প্রচেষ্টার পরও আগের রূপে ফেরানো সম্ভব হয়নি এই জনপ্রিয় স্টুডিওকে। আর কে স্টুডিওর প্রতিষ্ঠাতা তথা কিংবদন্তি অভিনেতা রাজ কাপুরের ছেলে ঋষি কাপুর বলছেন, “এমন একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া খুব কঠিন ছিল। এর সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। কিন্তু তাও…”
অগ্নিকাণ্ডের আগে থেকেই লোকসানের মুখ দেখতে শুরু করেছিল এই স্টুডিও। অনেকটা লাখ টাকার হাতি পোষার মতোই পরিস্থিতি হয়ে দাঁড়িয়েছিল। খুব কম সংখ্যক ছবি, টিভি সিরিয়াল এবং বিজ্ঞাপনের কাজই এখানে হত। বিশেষ ভাড়াও মিলত না। সেই সঙ্গে যাঁরা বুক করতেন তাঁরা আবার বিনামূল্যে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা, বিশেষ ছাড়ের দাবিও জানাতেন। সবমিলিয়ে ব্যবসায় মন্দা যাচ্ছিল। তাই শেষমেশ বিক্রির সিদ্ধান্তই নিল কাপুর পরিবার।
[অভিনয়ের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু, টেলিভিশনে আসছেন এই কিংবদন্তি অভিনেত্রী]
The post বিক্রি হতে চলেছে ঐতিহ্যবাহী আর কে স্টুডিও, জানালেন ঋষি কাপুর appeared first on Sangbad Pratidin.