সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কারাট লবির কাছে মর্যাদার লড়াইয়ে আরও একবার হার বেঙ্গল লাইনের। বাংলা থেকে তৃতীয়বার রাজ্যসভায় যাওয়া হচ্ছে না সীতারাম ইয়েচুরির। সূর্যকান্ত মিশ্র, বিমান বসুর মনোনীত ইয়েচুরির নাম খারিজ করে দিল সিপিএমের পলিটব্যুরো। দলের নিয়মে কেউ তৃতীয়বার রাজ্যসভায় প্রার্থী হতে পারবেন না। এই গেরোয় সিপিএমের সাধারণ সম্পাদককে আপাতত থামতে হচ্ছে। পলিটব্যুরোর সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের মতামত বুঝতে পেরে ইয়েচুরি জানিয়ে দেন তিনি প্রার্থী হচ্ছেন না।
[কৃষক বিক্ষোভে ফুটছে মধ্যপ্রদেশ, কাল মান্দসৌরে যাচ্ছেন রাহুল]
এ রাজ্য থেকে রাজ্যসভার ৬টি আসন খালি হয়েছে। নিজের শক্তিতে পাঁচটি আসনে জয় নিশ্চিত তৃণমূলের। ষষ্ঠ আসনটি নিয়ে যত আলোচনা। বাম বা কংগ্রেসের হাতে এই মুহূর্তে যা বিধায়ক সংখ্যা তাতে কোনও দলের একার পক্ষে তাদের প্রার্থীকে জেতানো সম্ভব নয়। রাজ্য থেকে এর আগে দুবার রাজ্যসভায় গিয়েছেন সীতারাম ইয়েচুরি। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক ফের প্রার্থী হলে প্রদেশ কংগ্রেস সমর্থনের ইঙ্গিত দিয়েছিল। দলের বেঙ্গল লাইনও কমরেডকে আরও একবার প্রার্থী করতে চেয়ে তোড়জোড় শুরু করেছিল। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক তথা পলিটব্যুরোর সদস্য সূর্যকান্ত মিশ্র, বিমান বসু, মহম্মদ সেলিমের মতো প্রথম সারির নেতারা চেয়েছিলেন ইয়েচুরিকে।
[পাকিস্তানে সেনাঘাঁটি বানাচ্ছে চিন, পেন্টাগনের রিপোর্টে উদ্বেগ ]
সিপিএমের রাজ্য কমিটির হয়ে ইয়েচুরির নাম প্রস্তাব করেছিলেন সূর্যকান্ত মিশ্র, বিমান বসু, সেলিমরা। পলিটব্যুরোতে এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হলেও সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য এর বিপক্ষে মত দেন। সিপিএম সূত্রে খবর, পার্টির নিয়ম অনুযায়ী দুবারের বেশি কেউ প্রার্থী হতে পারেন না। দলের কারাট লবি কংগ্রেসের সমর্থনে কাউকে প্রার্থী করতে আগ্রহী নয়। এই নিয়মে ইয়েচুরির আর রাজ্যসভায় যাওয়া হচ্ছে না। ইয়েচুরি প্রার্থী না হলে কংগ্রেস আদৌ বাম প্রার্থীকে সমর্থন করবে কিনা তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। পাশাপাশি ষষ্ঠ আসনটিতে তৃণমূল কোনও প্রার্থীর নাম জানালে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড কী করে তা নিয়েও নানা জল্পনা রয়েছে।
সীতারাম ইয়েচুরি শুধু সুবক্তা নন, বিরোধী দলগুলির মধ্যে সমন্বয়ের কাজটিও দক্ষতার সঙ্গে করেন। সংসদে বামেদের নেতৃত্ব দেন। মোদীর বিরুদ্ধে স্ট্র্যাটেজি তৈরিতেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ মুখ। পাশাপাশি দলের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার জন্য কমরেডদের থেকে বাড়তি শ্রদ্ধা পান। এমন একজন সাংসদ তথা নেতার বিকল্প এই মুহূর্তে বামেদের মধ্যে পাওয়া দুষ্কর। কারাট লবির জোরে আরও একটা কি ঐতিহাসিক ভুল করে ফেলল সিপিএম। এর উত্তর খুঁজতে অনেকবার হয়তো রামের নাম জপতে হবে গোপালন ভবনকে।