আকাশ মিশ্র: কর্মফল কাউকে ছাড়ে না! ভালো কাজের রিটার্ন ভালো। খারাপের রিটার্ন আরও খারাপ। ডিজনি হটস্টারে মুক্তি পাওয়া নতুন সিরিজ ‘কর্মা কলিং’য়ের গল্প ঠিক এই দর্শনের উপরই নির্ভর করে তৈরি। যেখানে কর্মা হিসেবে যোগ হয় বদলার গল্প।
আলিবাগের সবচেয়ে বিত্তশালী নারী হলেন ইন্দ্রাণী কোঠারি (রবিনা ট্যান্ডন)। তাঁর কথায় ওঠে, বসে গোটা আলিবাগ। ইন্দ্রাণী অনুমতি না দিলে, কাকপক্ষীও বসে না আলিবাগে। সেই আলিবাগেই ইন্দ্রাণীর ঠিক বাড়ির পাশেই বাংলো কেনেন কর্মা তলওয়ার (নম্রতা শেঠ)। কর্মার একটাই উদ্দেশ্য, যেভাবেই হোক ইন্দ্রাণীর প্রতিপত্তিকে খর্ব করতে হবে। ঠিক এই সময়ই ঘটে যায় একটি খুন। গল্পে নতুন ট্যুইস্ট। এই ট্যুইস্টই আসল মোচড় গোটা সিরিজের।
পরিচালক রুচি নারেন মার্কিন সিরিজ ‘রিভেঞ্জ’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তৈরি করেছেন ‘কার্মা কলিং’। মূলত এটি বদলার গল্প। ঘরানায় ফেলতে হলে এই সিরিজকে থ্রিুলারই বলতে হয়। তবে সমস্যা এখান থেকেই শুরু। এই সিরিজের চিত্রনাট্য এমনভাবে সাজানো হয়েছে যে সিরিজ শুরুর ১৫ মিনিটের মধ্যেই আপনি আন্দাজ করতে পারবেন সিরিজের গল্প কোনদিকে এগোচ্ছে। তাই সিরিজের অর্ধেক সাসপেন্স নষ্ট হয়ে যায়, সিরিজের দুএকটি এপিসোডেই।
[আরও পড়ুন: পিতৃহারা হলেন অরুণিমা ঘোষ, সবচেয়ে প্রিয় মানুষকে হারিয়ে শোকে বিহ্বল অভিনেত্রী ]
এই সিরিজে যদি কেউ মন দিয়ে কাজ করে থাকেন, তাহলে তিনি হলেন রবিনা ট্যান্ডন। বিত্তশালী, ক্ষমতাশালী মহিলার চরিত্রে রবিনা একেবারেই সঠিক বাছাই। অন্যান্য অভিনেতারা শুধুই রয়েছেন নিজের মতো করে।
এই সিরিজের গতি বেশ শ্লথ। তাই রোমাঞ্চ ধরে রাখতে পারে না ‘কার্মা কলিং’। হয়তো মার্কিন সিরিজের প্লটকে, ভারতীয় রূপ দিতে গিয়েই গণ্ডগোল করে ফেলেন পরিচালক। শেষমেশ বলা যায়, ৭টা এপিসোডে ভাগ করা এই সিরিজ না দেখলে, বড় কিছু মিস করবেন না।