সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রত্যাশামতোই কর্ণাটকের আস্থা ভোটে জয়ী হলেন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা। সোমবার এক লাইনের একটি অনাস্থা প্রস্তাবে ভোটাভুটি হয় কর্ণাটক বিধানসভায়। ধ্বনি ভোটে জয়ী হয় সরকারপক্ষ।
[আরও পড়ুন: বাড়ির অমতে বিয়ের জের, হুমকি পেয়ে ফের পুলিশের দ্বারস্থ উত্তরপ্রদেশের দুই দম্পতি]
ভোটের আগেই অবশ্য স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, আস্থা ভোটে অনায়াসে জয় পেতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কারণ, রবিবারই কংগ্রেসের ১১ এবং জেডিএসের ৩ মিলিয়ে মোট ১৪ জনের বিধায়ক পদ খারিজ করেন স্পিকার। ৩ জন বিধায়ক আগেই বরখাস্ত হয়েছিলেন। যার ফলে কর্ণাটক বিধানসভার মোট বিধায়কসংখ্যা কমে দাঁড়ায় ২০৮। ম্যাজিক ফিগার কমে দাঁড়ায় ১০৪। কর্ণাটকে বিজেপির নিজস্ব বিধায়কসংখ্যা ১০৫। স্বাভাবিকভাবেই এদিন ধ্বনিভোটে জয়ী হন ইয়েদুরাপ্পা। বলা যায়, অবশেষে সফল হল বিজেপির ‘অপারেশন কমল’। সেই সঙ্গে আপাতত কর্ণাটক রাজনীতির অচলবাস্থা কাটল।
এদিন আস্থাভোটে জয়ী হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পা দাবি করেন, “আস্থাভোটে জয়ী হওয়াটা কর্ণাটকে স্থায়ী এবং শক্তিশালী সরকার গঠনের লক্ষ্যে আরও একটা পদক্ষেপ। আমরা স্বচ্ছ এবং দায়বদ্ধ সরকার গঠন নিশ্চিত করব। আমি প্রত্যেক নাগরিক, বিধায়ক এবং বিজেপি কর্মীকে ধন্যবাদ জানাব।” অন্যদিকে, কংগ্রেস পরিষদীয় দলনেতা তথা বিরোধী দলনেতা সিদ্ধারামাইয়ার বক্তব্য, “আস্থাভোটের জন্য আমরা বেশি সময় পায়নি। তাই, এই ভোটের ফলাফল আমরা মেনে নিচ্ছি। তবে, আমরা এই আস্থা প্রস্তাবের বিরোধিতা করি। এটা অনৈতিক।” সেই সঙ্গে তাঁর হুঁশিয়ারি, “দেখা যাক আপনি কতদিন মুখ্যমন্ত্রী থাকতে পারেন।” ৬ মাসের মধ্যে বাতিল হওয়া বিধায়কদের কেন্দ্রগুলিতে নির্বাচন হবে। বিজেপিকে তার মধ্যে অন্তত ৮ টি আসনে জিততে হবে সরকার টিকিয়ে রাখতে হলে। সিদ্ধারামাইয়ে এদিন, খোঁচার মাধ্যমে সেকথাই মনে করিয়ে দিলেন।
[আরও পড়ুন: ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিতে আপত্তি, মুসলিম কিশোরকে পুড়িয়ে খুনের চেষ্টা ৪ যুবকের]
এদিকে, আস্থা ভোটের পরই কর্ণাটকের স্পিকারের পদ ছাড়েন কংগ্রেসের কে আর রমেশ কুমার। নতুন সরকার নতুন স্পিকার নির্বাচন করবেন। পদত্যাগের সময় তিনি বলেন, “যতদিন না পর্যন্ত নির্বাচনী ক্ষেত্রে সংস্কার করা হবে। ততদিন রাজনীতিতে দুর্নীতি, অনাচার চলবেই।”
The post সফল ‘অপারেশন কমল’, কর্ণাটকের আস্থা ভোটে জয় ইয়েদুরাপ্পার appeared first on Sangbad Pratidin.