নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন শনিবার। ২৪ ঘণ্টা কাটার আগেই বিজেপি ছাড়লেন কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ সেট্টার (Jagadish Shetter)। বিজেপি নেতার অভিযোগ, শুধু যে তাঁকে টিকিট দেওয়া হয়নি তাই নয়, উলটে অপমানও করা হয়েছে। তাই বিজেপিকে তিনি নিজের ক্ষমতা দেখিয়ে দিতে চান। সেট্টার দল ছাড়াই এবার ভালমতোই ধাক্কা খেতে পারে গেরুয়া শিবির।
কর্ণাটকের হুব্বলি সেন্ট্রাল কেন্দ্র থেকে ৬ বার বিধায়ক হয়েছেন জগদীশ সেট্টার। একবার কিছুদিনের জন্য মুখ্যমন্ত্রীও হন। কর্ণাটকের প্রভাবশালী লিঙ্গায়েতদের অন্যতম বড় নেতা সেট্টার। তিনি বিজেপি (BJP) ছাড়লে গেরুয়া শিবির যে বড়সড় ধাক্কা খেতে পারে, সেটা আগেই মেনে নিয়েছেন সেরাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা। এমনকী সেট্টারকে যাতে টিকিট দেওয়া হয়, সেজন্য হাইকম্যান্ডের কাছে দরবারও করেছেন তিনি। কিন্তু শেষমেশ হাইকম্যান্ডের মন গলানো যায়নি।
[আরও পড়ুন: গুলি চালানোর সময় ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান, আতিকের থেকেও বড় গ্যাংস্টার হতে চেয়েছিল হত্যাকারীরা]
দলত্যাগের আগে জগদীশ এদিন বলেন, “আমাকে অপমান করা হয়েছে। তাই আমার মনে হয়েছে ওদের চ্যালেঞ্জ করা উচিত।” শোনা যাচ্ছে, বিজেপি ছাড়লেও অন্য কোনও দলে যোগ দেবেন না তিনি। নির্দল টিকিটে নিজের কেন্দ্র থেকেই লড়বেন। তবে সেট্টারের দলত্যাগ বিজেপির জন্য বিরাট ধাক্কা হতে পারে। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, অন্তত ২০-২৫ আসনে ভাল প্রভাব আছে কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর।
[আরও পড়ুন: ‘উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলার মৃত্যু’, আতিক খুনে সরব বিরোধীরা]
এদিকে, নির্বাচনের তিন সপ্তাহ আগে বোধোদয় হয়েছে বিজেপির। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পা (BS Yediyurappa) এখন বলছেন, হিজাব বা হালাল মাংস নিয়ে বিতর্ক তৈরি করাটা ঠিক হয়নি। এই ইস্যুগুলি নিয়ে অহেতুক বিতর্কের কোনও মানে হয় না। ইয়েদি সাফ বলছেন,”এসব আমি সমর্থন করি না। আমার মতে হিন্দু এবং মুসলিমদের একসঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণভাবে বাস করা উচিত।”