সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভালবাসা অন্ধ! এতটাই অন্ধ যে সন্তান ভুলে যায় বাবা-মায়ের অবদান। প্রেমঘটিত একটি মামলায় এমনই পর্যবেক্ষণ কর্ণাটক আদালতের। জানা গিয়েছে, এক ব্যক্তি মামলা করেছিলেন, কলেজ পড়ুয়া তাঁর মেয়েকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছে এক তরুণ। যদিও আদালতে শুনানির সময় তরুণী জানিয়ে দেয়, স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছে সে। বাবা-মায়ের সঙ্গে নয়, স্বামীর সঙ্গেই থাকতে চায়। এরপরই কর্নাটক হাই কোর্টের (Karnataka High Court) দুই বিচারপতি এমন মন্তব্য করেন।
মেয়ের প্রেমিক তথা স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন টিএল নাগারাজু। নাগারাজুর মেয়ের নাম নিসর্গ। নিসর্গ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পড়ুয়া। নাগারাজুর অভিযোগ করেন, কিছুদিন আগে নিসর্গ কলেজের হস্টেল থেকে নিখোঁজ হন। আদতে নিখিল ও অভি নামে দুই তরুণ তাঁকে অপহরণ করে। এদিন বিচারপতি বি বিরাপ্পা ও বিচারপতি কেএস হেমালেখার বেঞ্চে নিসর্গ ও অভিযুক্ত নিখিলকে হাজির করানো হয়। সেই সময়ই নিসর্গ জানিয়ে দেয়, সে সাবালিকা। তার যথেষ্ট বয়স হয়েছে। ২০০৩ সালের ২৮ এপ্রিল জন্ম। সে নিখিলকে ভালবাসে। তাঁর সঙ্গে স্বেচ্ছায় গিয়েছিল। গত ১৩ মে তাঁরা মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করে। এরপর থেকে একসঙ্গে রয়েছে।
[আরও পড়ুন: বাজারে আগুন, নয়া রেকর্ড গড়ল পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির হার]
আদালতের বক্তব্য, “এদেশের বাবা-মা ছেলেমেয়েদের জন্য আত্মত্যাগ করেন, ছেলেমেয়েরাও একই কাজ করেন। সম্পর্কের মধ্যে যদি ফাটল না ধরে তবে এসব ক্ষেত্রে আদালতের নাক গলানোর প্রয়োজন পড়ে না। তবে এই মামলা প্রসঙ্গে বলাই যায়, ভালবাসা অন্ধ। এতটাই শক্তি তার যে বাবা-মা, পরিবার, সমাজের স্নেহ-মায়া-মমতাকেও ভুলিয়ে দেয়।” মেয়ে নিসর্গের উদ্দেশে দুই বিচারপতি বলেন, “আজ তোমরা বাবা-মায়ের সঙ্গে যে ব্যবহার করছ, তা একদিন তোমাদের জীবনেও ফিরবে। একশো বছর সেবা করেও বাবা-মার ঋণ শোধ করা যায় না।” তবে আইনের বিচারে নিসর্গের বাবা নাগারাজুর আবেদন খারিজ করে দেয় কর্ণাটক হাই কোর্ট।