সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘ সাত মাস পর হিজাব পরার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠছে কর্নাটকে। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া জানিয়েছেন, এবার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মহিলাদের হিজাব পরে যাওয়ায় আর কোনও বাধা রইল না। যদিও কর্নাটক প্রশাসনের এহেন সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে বিজেপি।
কর্নাটকে বিজেপি সরকারের আমলে মুখ্যমন্ত্রী বিএস বোম্মাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। যা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়। দেশজুড়ে শুরু হয়েছিল বিতর্ক। এহেন নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করা হয় কর্নাটক হাই কোর্টে। সেখানেও নিষেধাজ্ঞা জারির পক্ষেই নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর মামলা পৌঁছায় সুপ্রিম কোর্টে। শীর্ষ আদালতের রায়েও হাই কোর্টের নির্দেশই কার্যত মান্যতা পেয়েছিল। কিন্তু ক্ষমতায় এসে এবার সিদ্দারামাইয়া জানিয়ে দিলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রীরা ইচ্ছামতো হিজাব পরতে পারবে। এনিয়ে আর বাধা দেওয়া হবে না।
[আরও পড়ুন: আখনুরে বানচাল অনুপ্রবেশের ছক, পুঞ্চে চলছে অভিযান, কাশ্মীরে খতম জেহাদি]
কর্নাটকের মুখ্য়মন্ত্রী বলে দেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সবকা সাথ, সবকা বিকাশ আসলে অর্থহীন। বিজেপি মানুষের মধ্যে বিভাজন তৈরি করছে। জাত-ধর্ম, পোশাকের নামে সমাজে ভেদাভদ সৃষ্টি করছে। সেই কারণেই হিজাবের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলতে বলেছি। কে কী খাবে, কী পরবে, তা আমরা ঠিক করে দেওয়ার কেউ নই। আমরা ভোটের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না।”
সিদ্দারামাইয়ার এহেন সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে গেরুয়া শিবির। কর্নাটক বিজেপির তোপ, একই পোশাক স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের মধ্য়ে ঐক্য বজায় রাখে। সুপ্রিম কোর্টও সেকথাই বলেছিল। কিন্তু ভোট ব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখেই সিদ্দারামাইয়া এই নিষেধাজ্ঞা তুলে দিলেন। এদিকে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং সুর চড়িয়ে বলেন, “এটা শুধু হিজাবের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া নয়, এভাবে রাজ্য়ে শরিয়তকেই মান্যতা দিল কংগ্রেস। রাহুল গান্ধী, কংগ্রেস ও INDI জোট ক্ষমতায় থাকলে, দেশে ইসলামিক আইনই জারি করে দিত।”