সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিশোরী বাগদত্তার মাথা কেটে খুন করল হবু স্বামী! এমনই নৃশংস ঘটনার সাক্ষী হল কর্নাটক (Karnataka)। সেরাজ্যের মেদিকেরির বাসিন্দা ছিল নিহত কিশোরী। অভিযোগ, ষোলো বছরের ওই মেয়েটির মাথা কেটে সেটি সঙ্গে নিয়েই পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। তার সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
ঠিক কী হয়েছিল? অভিযোগ, ৩২ বছরের প্রকাশের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছিল মীনা নাম্নী ওই কিশোরীর। বৃহস্পতিবারই সে দশম শ্রেণির পরীক্ষায় পাশ করেছিল। আর সেদিনই তার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোনওভাবে খবর চলে যায় শিশুকল্যাণ দপ্তরের কাছে। তারা এসে জানায়, এই বিয়ে হতে পারে না। অন্যথায় পক্সো আইন ও শিশু বিবাহ আইনে মামলা রুজু হবে। মীনার অভিভাবকরা এর পর জানিয়ে দেন, তাঁরা সিদ্ধান্ত বদলাচ্ছেন। মেয়ের ১৮ বছর হলে তবেই তার বিয়ে দেবেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: ‘ভোটে লড়তে চাই’, জামিন চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ খলিস্তানি নেতা অমৃতপাল]
খবর যায় প্রকাশের কাছে। কিছু সময় পরে মীনার বাড়িতে ধারালো অস্ত্র হাতে হাজির হয় সে। অভিযোগ, এর পর মীনার বাবাকে লাথি মেরে ফেলে দিয়ে সে চড়াও হয় হবু শাশুড়ির উপরে। তাঁকেও জখম করে মীনার চুলের মুঠি ধরে তাকে বাড়ি থেকে বের করে আনে বাড়ির বাইরে। প্রায় ১০০ মিটার ওইভাবে টেনে নিয়ে গিয়ে তার পর তার মাথা কেটে নেয় অস্ত্র দিয়ে। শেষে কাটা মাথাটি সঙ্গে নিয়েই সেখান থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। অভিযোগ তেমনই।
প্রকাশ এখনও নিখোঁজ। তার খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ সুপারিটেন্ডেন্ট রামারাজন কে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, ''অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করার সব রকম চেষ্টা করা হচ্ছে।'' এদিকে মীনার বাবা ও মাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।