সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে গান লিখেছিলেন কর্নাটকের রোহিত কুমার। নমোর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে নিজেই সেই গানের সুর বেঁধেছিলেন। আপলোড করেছিলেন নিজের ইউটিউব চ্যানেলে। পাশাপাশি রোহিত চ্যানেলটি সাবস্কাইব করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন এক যুবককে। গন্ডগোলের সূত্রপাত সেখান থেকেই। রোহিতের অভিযোগ, 'পাকিস্তান জিন্দাবাদ' স্লোগান বলার চাপ দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন ওই যুবক ও তাঁর সঙ্গীরা। এমনকী তাঁর উপর প্রস্রাবও করা হয় বলে দাবি। রোহিতের সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত নেমেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, রোহিত মাইসুরুর মন্ডা জেলার মেল্লাহাল্লি গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর একটি ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রশংসা করে একটি গান বানিয়ে সেখানে আপলোড করেছিলেন তিনি। আত্মীয়-পরিজন, প্রতিবেশী সকলকে চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করার আর্জি জানিয়েছিলেন। পুলিশকে দেওয়া বয়ানে তিনি দাবি করেছেন, "আমি আমার চ্যানেলের লিংক শেয়ার করছিলাম, সবাইকে সাবস্ক্রাইব করতে বলছিলাম। সেসময় এক যুবক সরকারি গেস্ট হাউস থেকে বেরিয়ে আসেন। আমি জানতাম না ওই যুবক মুসলিম। আমি তাঁকেও গানটি শুনে শেয়ার করতে বলেছিলাম।"
[আরও পড়ুন: বেনজির সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টের, ৩০ সপ্তাহ পেরলেও নাবালিকা ধর্ষিতাকে গর্ভপাতের অনুমতি]
পুলিশের কাছে রোহিতের অভিযোগ, গানটি শোনার পর ওই যুবক তাঁর প্রশংসা করেন। গানটি ভালো হয়েছেও বলেন। এর পর তাঁকে চ্যানেলটি শেয়ার করার নাম করে বন্ধুদের সঙ্গে পরিচয় করাতে গেস্ট হাউসের ঘরে নিয়ে যান। কথামতো ঘরে ঢোকার পরই নাকি ওই যুবক ও আর তাঁর বন্ধুরা রোহিতের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। কেন মোদির প্রশংসায় গান বানানো হয়েছে? এই বলে অকথ্য ভাষায় তাঁকে গালিগালাজ শুরু করেন তাঁরা।
রোহিত আরও দাবি করেছেন, মারধর করে ওই যুবকরা তাঁর গায়ে প্রস্রাব করে দেন। শুধু তাই নয়, 'পাকিস্তান জিন্দাবাদ' বলার জন্যও জোর করেন। এর পরই মাইসুরু পুলিশের দ্বারস্থ হন রোহিত। এই ঘটনা প্রসঙ্গে মাইসুরু থানার পুলিশ জানিয়েছে, রোহিতের সমস্ত অভিযোগ শোনার পর তাঁকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। তাঁর উপর হওয়া হামলা এবং সমস্ত দাবির সত্যতা যাচাই করার জন্য তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ওই গেস্টহাউসের সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।