বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: কর্ণাটক নির্বাচনের (Karnataka Assembly election) দিনক্ষণ ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। ভোটগ্রহণ ১০ মে। ভোটগণনা হবে ১৩ মে। ২২৪ আসনের কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচন মে মাসেই হওয়ার কথা ছিল। ২৪ মে’র মধ্যেই নতুন সরকার গঠন করার কথা। অবশেষে নির্বাচন কমিশন (Election Commission) জানিয়ে দিল নির্বাচনের দিনক্ষণ। তবে রাহুল গান্ধীর কেন্দ্র ওয়েনাড়ের উপনির্বাচন এখনই নয়। উল্লেখ্য, এর আগের বার নির্বাচন হয়েছিল ২০১৮ সালের মে মাসে।
এবারের নির্বাচনে শাসক বিজেপি ও বিরোধী কংগ্রেসের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে। জেডিএসও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। ২০১৮ সালে জেডিএসের সঙ্গে হাত মিলিয়েই রাজ্যে সরকার গড়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু পরের বছরই ক্ষমতায় আসে বিজেপি। জোট থেকে ‘বিদ্রোহী’ বিধায়কদের সমর্থন আদায় করেই কর্ণাটকের মসনদে বসে তারা। প্রথমে ইয়েদুরাপ্পাকে মুখ্যমন্ত্রী করলেও পরে তাঁর জায়গায় ২০২১ সালের জুলাই মাসে নতুন মুখ্যমন্ত্রী হন বাসবরাজ বম্মাই। এই মুহূর্তে কর্ণাটকে বিজেপি বিধায়কের সংখ্যা ১২১। কংগ্রেস ৭০ ও জেডিএস ৩০।
[আরও পড়ুন: পাঁচমাসে সর্বোচ্চ দেশের করোনা সংক্রমণ, একদিনে মারণ ভাইরাসের বলি ৭]
নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার পর থেকেই গুঞ্জন, কংগ্রেস কি বিজেপিকে সরিয়ে ক্ষমতায় ফিরতে পারবে? হাত শিবির আশাবাদী। রাজ্যে তাদের ভিত বেশ মজবুত। সিদ্দারামাইয়াকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ করে এগোতে চাইছে তারা। এদিকে ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া পদ্ম শিবিরও। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে যে ক’টি রাজ্যে নির্বাচন রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম কর্ণাটক। দেশের অন্যতম বৃহৎ ও অর্থনৈতিক ভাবে শক্তিশালী রাজ্যে নির্বাচনের ফলাফল কী হয় তা জানতে যে রাজনৈতিক মহল উদগ্রীব হয়ে থাকবে তা বলাই বাহুল্য।