সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটা ডেস্ক: হুবহু যেন রামমন্দিরে প্রতিষ্ঠিত রামলালা। সেই মূর্তির মতো দেখতেই প্রাচীন বিষ্ণু মূর্তি উদ্ধার হল কর্নাটকের কৃষ্ণা নদী থেকে। মিলেছে প্রাচীন কালের একটি শিবলিঙ্গও।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাইচুর জেলার দেবাসুগুর গ্রামের কাছে ওই নদীর উপর একটি সেতু তৈরির কাজ চলছিল। নির্মাণ কাজ চলাকালীনই নদীবক্ষ থেকে উদ্ধার করা হয় কয়েক শতক পুরনো বিষ্ণুর মূর্তিটি। পাথরের খোদাই করা মেটে রঙের মূর্তিটি দেখতে অনেকটা অযোধ্যার রামলালার মূর্তির মতো বলেই দাবি স্থানীয়দের। সেতু নির্মাণকারীরাই মূর্তি এবং শিবলিঙ্গটি উদ্ধার করে স্থানীয় প্রশাসনকে খবর দেন। এক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, কৃষ্ণের ওই মূর্তিতে তার দশবতারও খোদাই করা আছে। অন্যরা আবার বলছেন, এই মূর্তির সঙ্গে অনেকটাই মিল রয়েছে অযোধ্যার রামলালার।
[আরও পড়ুন: ক্যাপিটল হিংসার মামলা থেকে মুক্ত নন, আদালতের রায়ে ধাক্কা ট্রাম্পের]
প্রাচীন ইতিহাস এবং প্রত্নতত্ত্বের অধ্যাপক পদ্মজা দেশাই জানাচ্ছেন, উদ্ধার হওয়া মূর্তির নানা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। মূর্তির চারধারে বিষ্ণু দশ অবতারের অস্তিত্ব যেমন খুঁজে পাওয়া গিয়েছে, তেমনই এই মূর্তি তৈরির ধরন বলে দিচ্ছে, এটি বহু প্রাচীন। মূর্তির চারপাশে রয়েছে মৎস্য, কুর্ম, বরাহ, নমসিমা, বামন, রাম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ এবং কলকি- এই দশটি অবতার। যা দেখতে অনেকটাই রামমন্দিরে প্রতিষ্ঠিত নয়া রামলালার মতো।
প্রত্নতত্ত্ববিদদের দাবি, সম্ভবত এই মূর্তি একাদশ অথবা দ্বাদশ শতাব্দীতে তৈরি। কোনও একটি মন্দিরের গর্ভগৃহেই ছিল মূর্তি বলে আন্দাজ করা হচ্ছে। কিন্তু হয়তো মন্দিরে হামলার সময় সেটি যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তার জন্য নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সবে মূর্তির নাকটি সামান্য ভেঙে গিয়েছে।