সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গ্যাংস্টার বিকাশ দুবের মতোই অন্তিম পরিণতি কাশগঞ্জ ঘটনার (Kasganj encounter case) মূল অভিযুক্ত মোতি সিংয়ের। রবিবার এনকাউন্টারে তাকে খতম করল উত্তরপ্রদেশ (Uttarpradesh) পুলিশ। কাশগঞ্জের লিকার মাফিয়া মোতির বিরুদ্ধে এক কনস্টেবলকে খুন এবং এক ইন্সপেক্টরকে গুরুতরভাবে জখম করার অভিযোগ ছিল। এর আগে পুলিশের গুলিতে মারা গিয়েছিল মোতির ভাই এলকারও। ঘটনায় ইতিমধ্যে বেশ চাঞ্চল্যও ছড়িয়েছে যোগীর রাজ্যে।
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের কাশগঞ্জ জেলার নাগলা ধীমের গ্রামে অবৈধ মদের কারখানা গড়ে ওঠার খবর পায় পুলিশ। তারপরই সেই কারখানা বন্ধ করতে ওই গ্রামে গিয়েছিলেন দুই পুলিশ কর্মী। সাব ইন্সপেক্টর অশোক ও কনস্টেবল দেবেন্দ্র গ্রামে ঢুকতেই মাফিয়া মোতির সাগরেদরা তাদের উপর চড়াও হয়। লাঠি-বল্লম দিয়ে দুই পুলিশকর্মীকে বেধড়ক মারধর করে তারা। ঘটনাস্থলেই কনস্টেবলের মৃত্যু হয়। কোনওরকমে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন সাব ইন্সপেক্টর অশোক। তিনিই পুরো ঘটনার কথা উচ্চ পদাধিকারীদের জানান। এরপরই কড়া বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। জানিয়ে দেন, উত্তরপ্রদেশে মাফিয়ারাজ চলবে না। অপরাধীদের জন্য জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে সরকার। এরপরই মোতির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি হয়।
[আরও পড়ুন: প্রেমে প্রত্যাখ্যানের বদলা নিতেই বিষপ্রয়োগ! উন্নাওয়ের দুই কিশোরীকে খুনের কথা কবুল অভিযুক্তের]
এর পরই বিশাল পুলিশবাহিনী ফের অভিযান চালায়। ভোররাতে গোটা গ্রাম ঘিরে ফেলে তারা। মোতি ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। বদলে পালটা গুলি চালায় দুষ্কৃতীদের দলটি। সেই সময় পুলিশের গুলিতে মদচক্রের পাণ্ডার ভাই এলকারের মৃত্যু হয়। পালিয়ে যায় মোতি। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। রবিবার পুলিশের গুলিতেই খতম হল এই লিকার মাফিয়া।
প্রসঙ্গত, গত বছরই উত্তরপ্রদেশের আরেক মাফিয়া বিকাশ দুবেকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন সাত পুলিশ কর্মী। পরে ওই মাফিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশি হেফাজত থেকে পালানোর চেষ্টা করতেই তাঁকে এনকাউন্টারে খতম করে যোগীর পুলিশ। তবে এই ঘটনা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্কও দেখা দিয়েছিল।