সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের কাশ্মীরে হিংসার বলি এক পুলিশকর্মী (Kashmir Police)। নিজের বাড়ির সামনেই জঙ্গির (Terrorist) গুলিতে মৃত্যু হয়েছে সইফুল্লাহ কাদরি নামে ওই পুলিশকর্মীর। গুলিবিদ্ধ হয়েছে তাঁর সাত বছর বয়সি শিশুকন্যাও। ঘটনাটি ঘটেছে শ্রীনগরের সৌর এলাকায়। দিন দশেক আগে একইভাবে বাড়ির সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হরিয়েছিলেন এক পুলিশকর্মী। কয়েক দিনের মধ্যেই ফের পুলিশকর্মীর রক্তে রক্তাক্ত ভূস্বর্গ।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, জঙ্গিরা সইফুল্লাহর বাড়ির সামনে গুলি চালায়। সেই গুলি লেগে আহত হন সইফুল্লাহ। তাঁর কন্যার গায়েও গুলি লাগে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু বাঁচানো যায়নি সইফুল্লাহকে। গুলিতে জখম হয়েই মৃত্যু হয় তাঁর। তবে আপাতত বিপদের আশঙ্কা নেই তাঁর কন্যার। তার ডান হাতে গুলি লাগলেও সেটি বের করে দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘রাম মন্দিরের ইটে কুকুর প্রস্রাব করে’, কংগ্রেস নেতার মন্তব্যে বিতর্ক তুঙ্গে]
এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন কাশ্মীর পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল বিজয় কুমার। তিনি বলেছেন, জঙ্গিদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। “খুব তাড়াতাড়ি ওদের ধরতে পারব”, আশাবাদী বিজয়। এলাকা ঘিরে রেখে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, সোমবার লস্কর-ই-তইবার পাঁচ জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজন গত মাসে বারমুলা এলাকায় একটি খুনের দায়ে অভিযুক্ত। গ্রেপ্তার হওয়া জঙ্গিদের ‘হাইব্রিড’ জঙ্গি বলে অভিহিত করেছে কাশ্মীর পুলিশ। এই ধরনের জঙ্গিরা কোনও গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত নয়। কিন্তু মাঝে মাঝে হিংসাত্মক কাজ করে তারা। ফের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যায় এই দুষ্কৃতীরা।কিছুদিন আগেই এক কাশ্মীরি পণ্ডিত জঙ্গিদের হাতে খুন হন। তার দু’দিন পরেই পুলওয়ামাতে খুন হন এক পুলিশকর্মী। এই দুই প্রাণহানির পর থেকেই অশান্ত হয়ে রয়েছে কাশ্মীর।
[আরও পড়ুন: মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার আগে খতিয়ে দেখতে হবে অভিযুক্তের মানসিক অবস্থা, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের]