সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের গান্ডেরবালে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয়েছে এক চিকিৎসক-সহ ৭ জনের। নৃশংস সেই সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনার দায় স্বীকার করল পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবা। পাক সরকারের নিষেধাজ্ঞার জেরে বর্তমানে এই সংগঠনের নাম দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ)।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর, পাকিস্তানের টিআরএফ সংগঠনের প্রধান শেখ সজ্জাদ গুল এই হামলার মাস্টারমাইন্ড। তার নির্দেশেই সোনমার্গের গান্ডেরবালে কাশ্মীরি ও অকাশ্মীরিদের উপর এই হামলা চালানো হয়। কাশ্মীরের মাটিতেও ভীষণভাবে সক্রিয় এই সংগঠন। গত দেড় বছরে কাশ্মীরী পণ্ডিত, শিখ ও উপত্যকায় বাইরে থাকা কাজ করতে আসা বহু শ্রমিক হত্যায় যুক্ত টিআরএফ। সূত্রের খবর, যেখানে সোনমার্গ-গান্ডেরবাল সুড়ঙ্গ নির্মাণের কাজ চলছিল সেখানে গত এক মাস ধরে রেইকি করেছিল জঙ্গিরা। মনে করা হচ্ছে, দুই থেকে তিন জন জঙ্গি এই হামলা চালায়। উদ্দেশ্য ভূগর্ভ পথ নির্মাণের কাজ বন্ধ করা।
উল্লেখ্য, রবিবার রাতে সন্ধেবেলা নির্মীয়মাণ একটি ভূগর্ভস্থ পথের কাছে পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। এই হামলায় এক চিকিৎসক ও ৬ পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়। আহত হন আরও ৫ জন। এই হামলার খবর প্রকাশ্যে আসার পর কড়া হুঁশিয়ারি দেন অমিত শাহ। জানান, যারা জম্মু কাশ্মীরে নৃশংস এই হামলা চালিয়ে সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে তাদের রেহাত করা হবে না।
পাশাপাশি এই হামলার পিছনে উঠে আসছে বিস্ফোরক তথ্য। তদন্তকারীদের দাবি, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সোনমার্গ-গান্ডেরবাল সুড়ঙ্গ নির্মাণ বন্ধ করার উদ্দেশেই এই হামলা চালানো হয়েছে। কারণ, এই সুড়ঙ্গ তৈরি হয়ে গেলে, সারা বছর কাশ্মীরের সঙ্গে কার্গিলের যোগাযোগ রাখা যাবে। প্রবল শীতেও সহজে নিয়ন্ত্রণ রেখায় নজরদারি করতে যাতায়াতের সুবিধা হবে সেনাবাহিনীর। পাশাপাশি কাশ্মীরের পর্যটনের ব্যাপক উন্নতি হবে এই সুড়ঙ্গের ফলে।