সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘শিকারা: দ্য আনটোল্ড স্টোরি অফ কাশ্মীরি পণ্ডিতস’ মুক্তির আগে থেকেই খবরের শিরোনামে। কখনও অধিকার থেকে বঞ্চিত কাশ্মীরি পণ্ডিতদের হয়ে প্রশ্ন তুলে, আবার কখনও বা ইতিহাস বিকৃত করার অভিযোগ তুলে পরিচালকের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর হাই কোর্টে। তবে এবার ‘শিকারা’ পড়েছে আরেক বিপাকে। মুক্তির দিনই বিধু বিনোদ চোপড়ার ছবি বয়কটের ডাক উঠল। অভিযোগ, কাশ্মীরি পণ্ডিতদের দুঃখ-যন্ত্রণা তুলে ধরার অজুহাতে আদ্যোপান্ত কমার্শিয়াল ছবি তৈরি করেছেন পরিচালক।
নেটদুনিয়ায় এখন #BoycottShikara ট্রেন্ডিং। সংশ্লিষ্ট হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে বিধু বিনোদ চোপড়ার ‘শিকারা’কে বয়কট করার ডাক উঠেছে নেটিজেনদের একাংশের তরফে। বিশেষ করে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন কাশ্মীরি পণ্ডিতরা। কিন্তু কেন? তাঁদের অভিযোগ, পরিচালক বিধু সিনেমায় কাশ্মীরি পণ্ডিতদের বাস্তব-কষ্ট দেখানোর পরিবর্তে নয়ের দশকে উপত্যকার হিন্দু গণহত্যা ঘটনার বাণিজ্যিকীকরণ করেছেন।
[আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে অপু-কাজলের ‘অভিযাত্রিক’ যাত্রা, সাদাকালো ফ্রেমে নস্ট্যালজিয়া উসকে দিল টিজার ]
এখানেই শেষ নয়! তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন, “যদি কাশ্মীরি পণ্ডিতদের দুঃখ-কষ্ট তুলে না-ই ধরতে পারেন, তাহলে সেই রক্তাক্ত ইতিহাস নিয়ে ভন্ডামি কেন করলেন বিধু?” কেউ বা আবার মন্তব্য করেছেন, “ভীষণই দুঃখজনক। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের সঙ্গে হওয়া অন্যায়-অত্যাচার পর্দার আড়ালেই রয়ে গেল। সত্যিটা যদি পরিচালক না দেখাতে পারেন, তাহলে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের দুঃখজনক ইতিহাস বিক্রি করার কোনও অধিকার নেই তাঁর!”
কাশ্মীরি পণ্ডিত সম্প্রদায়ের এক মহিলা ‘শিকারা’ দেখতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। তাঁর কথায়, “কাশ্মীরি হিন্দুদের আসল দুঃখ-কষ্ট তো সিনেমায় অনুপস্থিত! ১৯৯০ সালের ঘটনার বাণিজ্যিকীকরণ করা হয়েছে।” আরেক নেটিজেন বিধু বিনোদকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন, “নিজে কাশ্মীরি পণ্ডিত হয়ে আমি আপনার ছবি মানছি না। আপনার জন্য আমি ‘শিকারা’র সিক্যুয়েল বানাব।”
[আরও পড়ুন: দাম্পত্যের ২৫ বছর অন্যভাবে সেলিব্রেট, শাহিনবাগে সস্ত্রীক কৌশিক ]
The post কাশ্মীরি পণ্ডিতদের যন্ত্রণা কোথায়? ‘শিকারা’ বয়কটের ডাক নেটদুনিয়ায় appeared first on Sangbad Pratidin.