সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উভয় সংকটে কাশ্মীরি পণ্ডিতরা। কর্মক্ষেত্রে গেলে খুন হতে হবে জেহাদিদের হাতে। আর না গেলে মরতে হবে অনাহারে! এই দু’মুখো বিপদ থেকে নিস্তার পেতে বিক্ষোভের পথ বেছে নিয়েছিলেন উপত্যকার সংখ্যালঘুরা। কিন্তু সেখানেও নেমে এল প্রশাসনের খড়্গ। বিজেপি দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে পুলিশের হাতে মার খেতে হল বিক্ষোভকারী কাশ্মীরি পণ্ডিতদের। সেই সঙ্গে অন্তত পঞ্চাশ জন কাশ্মীরি পণ্ডিতকে আটক করা হল।
আসলে কাশ্মীরে যে কাশ্মীরি পণ্ডিতরা এতদিন বিজেপির ভোটব্যাংক হিসাবে পরিচিত ছিল তারাই এখন গেরুয়া শিবিরের জন্য অস্বস্তির কারণ। আসলে, নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর কাশ্মীরে পণ্ডিতদের পুনর্বাসনের আশ্বাস দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী পুনর্বাসন যোজনার আওতায় কয়েক হাজার কাশ্মীরি পণ্ডিতকে উপত্যকায় সরকারি চাকরি দিয়ে ফেরানোও হয়েছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, সরকারের প্রতিশ্রুতি মেনে কাশ্মীরে (Kashmir) গিয়েই ফেঁসে গিয়েছেন পণ্ডিতরা। কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা খর্ব হওয়ার পর গত কয়েক বছরে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ‘টার্গেট কিলিং’ বাড়ছে। যে কোনও দিন খুন করতে পারে জেহাদিরা। লাগাতার দেওয়া হচ্ছে হুমকি। অথচ, নিরাপত্তার নিশ্চিত করতে কোনও পদক্ষেপই করছে না প্রশাসন। ফলে আরও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন উপত্যকার সংখ্যালঘুরা।
[আরও পড়ুন: ‘ভারতকে খাটো করার ষড়যন্ত্র’, বিবিসি বিতর্কের মাঝে সাদ্দাম প্রসঙ্গ টেনে সরব ধনকড়]
এই পরিস্থিতিতে উপত্যকার কাশ্মীরি পণ্ডিতরা কর্মক্ষেত্রে যাওয়া বয়কট করেছেন। বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে প্রায় ২৮০ দিন ধরে লাগাতার আন্দলোন চালিয়ে যাচ্ছেন প্রায় ৬ হাজার কাশ্মীরি পণ্ডিত। পালা করে কাশ্মীর প্রেস ক্লাবের সামনে ধরনা, অবস্থান বিক্ষোভ করছেন তাঁরা। কিন্তু বুধবার প্রেস ক্লাব থেকে ধরনাকারীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ প্রশাসন। স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, দীর্ঘসময় ধরে বিক্ষোভের ফলে স্থানীয়দের অসুবিধা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: BBC দপ্তরে ৬০ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি, দু’দিন অফিসেই রাত কাটালেন আধিকারিকরা]
প্রেস ক্লাব থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর বিজেপি দপ্তরে বিক্ষোভ দেখাতে যান কাশ্মীরি পণ্ডিতরা। সেখানে বিক্ষোভ দেখাতে গেলেই পণ্ডিতদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ৫০ জন কাশ্মীরি পণ্ডিতকে আটক করা হয়েছে বলেও স্থানীয় সূত্রে খবর।