সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মে মাসেই পুলিৎজার পেয়েছিলেন তিনি। সেই স্বনামধন্য কাশ্মীরি (Kashmir) চিত্র সাংবাদিক সানা ইরশাদ মাট্টুরকে দেশ ছাড়তে দিল না অভিবাসন দপ্তর। প্যারিসে (Paris) একটি চিত্র প্রদর্শনীতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল সানার। তাঁর দাবি, বৈধ ভিসা থাকা সত্ত্বেও তাঁকে আটকে দেওয়া হয় বিমানবন্দরে। টুইটারে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বছর ২৮-এর সানা।
তিনি জানিয়েছেন, দিল্লি থেকে প্যারিস যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। একটি বই প্রকাশ ও চিত্র প্রদর্শনী উপলক্ষে। কিন্তু বিমানবন্দরে অভিবাসন দপ্তরের ডেস্কে তাঁকে আটকে দেওয়া হয়। ক্ষুব্ধ সানা জানাচ্ছেন, ”আমাকে কোনও কারণ দেখানো হয়নি। কিন্তু পরিষ্কার করে বলে দেওয়া হয়েছে, আমি বিদেশে যেতে পারব না।”
[আরও পড়ুন: নূপুর শর্মাকে সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনায় অসন্তুষ্ট অনুপম খের, দিলেন কড়া প্রতিক্রিয়া]
ফ্রান্সের ভিসা থাকার পরও কেন আটকে দেওয়া হল কাশ্মীরের চিত্র সাংবাদিককে? এখনও পর্যন্ত কেন্দ্র কিংবা রাজ্য প্রশাসনের তরফে সেব্যাপারে কিছুই জানানো হয়নি। তবে জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ সূত্রের দাবি, সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উপত্যকার কয়েকজন সাংবাদিককে বিদেশে যেতে দেওয়া হবে না। সেই তালিকায় নাকি সানার নামও রয়েছে। আর তাই তাঁকে আটকে দেওয়া হয়েছে বিমানবন্দরে।
প্রসঙ্গত, এমন ঘটনা এই প্রথম নয়। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে কাশ্মীরি সাংবাদিক গওহর গিলানিকে একই ভাবে দিল্লির বিমানবন্দরে আটকে দিয়েছিল অভিবাসন দপ্তর। তিনি জার্মানি যাচ্ছিলেন। গত বছর সাংবাদিক-অধ্যাপক জাহিদ রফিককে আমেরিকায় যেতে দেওয়া হয়নি। মার্কিন এক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতে যাচ্ছিলেন জাহিদ। কিন্তু বিমানবন্দরে তাঁকে আটকে দেওয়া হয়। একই ভাবে কয়েক মাস আগে দক্ষিণ কাশ্মীরের এক অধ্যাপকের সঙ্গেই একই ঘটনা ঘটে। বিদেশ যেতে দেওয়া হয়নি কাশ্মীরি সাংবাদির রুয়া শাহকেও।
উল্লেখ্য, শ্রীনগরের বাসিন্দা সানা রয়টার্সের চিত্র সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেন। ২০২২ সালের পুলিৎজার জিতেছেন তিনি। তিনি একা নন, রয়টার্সের আরও তিন চিত্র সাংবাদিক ভারতে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ছবি তুলে পুরস্কৃত হয়েছিলেন।