ধীমান রায়, কাটোয়া: বয়স মাত্র ৩ বছর ৪ মাস। এখনও স্কুলের চৌকাঠে পা রাখেনি। কিন্তু বড়দের মুখে যা শোনে তাই মুখস্থ হয়ে যায় তার। টেলিভিশনের পর্দায় একবার দেশ-বিদেশের রাষ্ট্রপধান নাম একবার শুনলে আর ভোলে না।পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ার চৌঢাক গ্রামের ছোট্ট শিশু শিবম মণ্ডলের অসাধারণ স্মৃতিশক্তি তাক লাগিয়ে দিচ্ছে সকলকে!
চৌঢাক গ্রামের বাসিন্দা সুজিত মণ্ডল ও রুবিরজক মণ্ডলের একমাত্র সন্তান শিবম। সুজিতবাবু আসানসোলের একটি স্কুলে শিক্ষকতা করেন। রুবিদেবী গৃহবধূ। বাড়িতে রয়েছেন শিবমের দাদু মাধবচন্দ্র মণ্ডল, ঠাকুমা রীতাদেবী। আর পাঁচটা শিশুর মতোই বাড়িতে দাদু-ঠাকুমার সঙ্গে নানারকম খেলাধুলো করে শিবম। তারমধ্যেই শিবম রপ্ত করে ফেলেছে বাংলা, ইংরেজির বর্ণমালা। দেশের প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে অন্যান্য দপ্তরের মন্ত্রীদের, কোনওটাই শিবমের কাছে অজানা নয়। মা, বাবার সঙ্গে ইংরেজিতে কথোপকথনেও সড়গড় সে।
[আরও পড়ুয়া: চপার দুর্ঘটনায় বিপিন রাওয়াত, ‘দুঃসংবাদ’ পেয়ে মাঝপথে প্রশাসনিক বৈঠক থামালেন মুখ্যমন্ত্রী]
রুবিরজক মণ্ডল বলেন, “আমার ছেলের যখন দু’বছর তখন থেকেই যা শুনতো মনে রাখতে পারত। পরীক্ষা করে দেখার জন্য পরেরদিন সেই প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হত। তখনও দেখা গিয়েছে নির্ভুলভাবে সব বলে দিতে পারছে। তারপর থেকে মুখে মুখে বিভিন্ন বিষয়ে পড়া বলা হয়। কিন্তু ছেলে একবার যেটা শুনে নেয় সেটা আর ভোলে না।” শিবমের বাবা সুজিত মণ্ডল বলেন,” আমার মা পুজো করার সময় মন্ত্রপাঠ করেন। শিবম পাশে বসে শোনার পর সেসব মন্ত্র নির্ভুলভাবে বলে। এখন মুখে মুখেই ওকে বিভিন্ন বিষয়ে পড়ানো হয়। যেগুলো শোনানো হয় সব ওর মনে থাকে।”
কাটোয়া ১ ব্লক সুসংহত শিশুবিকাশ প্রকল্প আধিকারিক সন্দীপ সাহা শিবমের এই প্রতিভার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। সন্দীপবাবু বলেন,” ওই পরিবারটির সঙ্গে আমার পরিচয় রয়েছে। শিবমকে আমিও বিভিন্ন প্রশ্ন করে দেখেছি, একবার বলে দেওয়ার পর সমস্ত নির্ভুলভাবে মনে রাখতে পারে। এটা ব্যতিক্রমী। এককথায় ছেলেটা জিনিয়াস।”