শেখর চন্দ্র, আসানসোল: অনলাইন পরীক্ষার দাবিতে আবারও কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (Kazi Nazrul University) ছাত্র-ছাত্রীদের বিক্ষোভ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটের সামনে শয়ে শয়ে পড়ুয়া বিক্ষোভ দেখান। আত্মহত্যার চেষ্টাও করেন এক পড়ুয়া। এই নিয়ে গত এক মাসে চারবার আন্দোলনে উত্তপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর।
কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালযয়ের পড়ুয়াদের আন্দোলন ক্রমশ নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে। আন্দোলন চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মীয়মাণ ভবনের উপরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন এক আন্দোলনকারী। পাঁচতলা বিল্ডিংয়ের নির্মীয়মাণ সিঁড়ি থেকে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অজয় পণ্ডিত নামে এক পড়ুয়া। তাঁর বাড়ি দুর্গাপুরে। সিক্স সেমিস্টার ল কলেজের ছাত্র। শেষ পর্যন্ত অন্য আন্দোলনকারীরা ছুটে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করেন। শুধু তাই নয় অবরোধও করেন পড়ুয়ারা। পথ অবরোধ চলাকালীন আটকে যায় জামুড়িয়ার বিধায়ক হরেরাম সিংয়ের গাড়ি। যদিও বিধায়ক পড়ুয়াদের এই আন্দোলনকে সমর্থন জানান। এরপর মূল গেট বন্ধ থাকায় বেড়া টপকে সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়েন আন্দোলনকারী। গেট ভাঙার চেষ্টা হয়।
[আরও পড়ুন: ‘নাকতলায় সারমেয়র ফ্ল্যাট! টাকার উৎস কী?’, পার্থর সম্পত্তি নিয়েও প্রশ্ন তুলল হাই কোর্ট]
পড়ুয়াদের দাবি, করোনাকালে প্রায় দু’বছর অনলাইন ক্লাস করানো হয়। তার ফলে কোর্স সম্পূর্ণ হয়নি। অথচ কর্তৃপক্ষ অফলাইন পরীক্ষার নির্দেশ দেয়। এই নির্দেশ প্রত্যাহার এবং অনলাইন পরীক্ষার দাবিতে সকাল থেকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ছাত্রছাত্রীরা। তার ফলে গত ৩০ দিনে চারবার আন্দোলন হল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে। বুধবার আন্দোলন রাত পর্যন্ত হয়েছিল। তখনই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনলাইন পরীক্ষার আশ্বাস দেয়। কিন্তু হঠাৎ করে বৃহস্পতিবার রাতে নোটিস দেওয়া হয় অনলাইনে নয়, পরীক্ষা হবে অফলাইনে। সকাল থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায় কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। ছাত্রছাত্রীদের বক্তব্য, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অফলাইন পরীক্ষার সিদ্ধান্ত বদল করতে হবে। বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।
পড়ুয়ারা এদিন বলেন, কল্যাণী, বিদ্যাসাগর ও বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন পরীক্ষা হলে কেন কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে হবে না। তবে এদিন কোনও সদুত্তর মেলেনি। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনড়। এত কিছুর পরেও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেননি। তার ফলে ক্রমশই জোরদার হচ্ছে আন্দোলন।