সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেঘভাঙা বৃষ্টি ও ভূমিধসে বিধ্বংসী চেহারা নিচ্ছে উত্তরাখণ্ড ও হিমাচলপ্রদেশ। পর্যটক ও পুণ্যার্থীদের প্রিয় দেবভূমির দুই রাজে্য মৃত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০। নিখোঁজ শতাধিক। বৃষ্টি-ধসের পরিস্থিতি সামলে ওঠার আগেই শুক্রবার সকালে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল হিমাচলপ্রদেশের লাহুল-স্পিতি।
রিখটার স্কেলে সেই কম্পনের মাত্রা ছিল ৩.২। যদিও এই কম্পনের জেরে কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। গত বুধবার কেদারনাথ যাওয়ার পথে ভীমবলীতে বৃষ্টি আর ধসের কারণে আটকে পড়েছিলেন বহু পুণ্যার্থী। প্রায় পঁাচ হাজার পুণ্যার্থীকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। সাতশোরও বেশি পুণ্যার্থীকে বৃহস্পতিবার হেলিকপ্টারে করে উদ্ধার করা হয়। আপাতত তঁাদের শোনপ্রয়াগে রাখা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘রামের অস্তিত্বের কোনও ঐতিহাসিক প্রমাণ নেই’, ডিএমকে নেতার মন্তব্যে বিতর্ক তুঙ্গে]
এখনও আটকে থাকা ৩০০ পুণ্যার্থীকে উদ্ধারের কাজ চলছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পরেই শনিবার পর্যন্ত স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে কেদারনাথ যাত্রা (Kedarnath Yatra)। বুধবার থেকে হওয়া ভারী বৃষ্টির জেরে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রুদ্রপ্রয়াগ। বহু রাস্তা ভেঙে গিয়েছে। কোথাও ধস নেমেছে বলে জানিয়েছেন ডিজি। এদিনও উত্তরাখণ্ডের তেহরি এবং রুদ্রপ্রয়াগে ভারী বৃষ্টি হয়। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, আরও ৪৮ ঘণ্টা ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে এই দুই জেলায়। এর পরই পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসন, এসডিআরএফ এবং এনডিআরএফ মোতায়েন করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত উত্তরাখণ্ডে বৃষ্টি-ধসের জেরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দঁাড়িয়েছে ১৬।
২০১৩ সালে হড়পা বানে ভেসেছিল কেদারনাথ। প্রাণ গিয়েছিল বহু পর্যটকের। সেই স্মৃতি এখনও টাটকা। এর মাঝেই বুধবার থেকে মেঘভাঙা বৃষ্টি শুরু হয়েছে উত্তরাখণ্ডে।