দুলাল দে: মোহনবাগানে একের পর এক ফুটবলারের চুক্তি ঘোষণা হচ্ছে। কিন্তু রবিবার পর্যন্ত কী খবর গত মরশুমের অধিনায়ক প্রীতম কোটালের (Pritam Kotal)? সবুজ-মেরুনের ঘরের ছেলে কি মোহনবাগান (Mohun Bagan) ছাড়বেন? না কি শেষ পর্যন্ত আরও দু’বছরের চুক্তির জন্য থেকে যাবেন সবুজ-মেরুনেই? কেউ বলছেন, মোহনবাগান ছাড়তে চান প্রীতম। কেউ বলছেন, কেরালা ব্লাস্টার্সের সঙ্গে চুক্তি হয়ে গিয়েছে। শুধু মোহনবাগানের এনওসি-র অপেক্ষায়। সবই দেখছেন। সবই পড়ছেন। জাতীয় দলে থাকার জন্য কোনও মন্তব্যও করতে পারছেন না। কিন্তু মানসিক ভাবে হতাশ তো হচ্ছেন বটেই। কারণ, কিছু কিছু সময় যা প্রচার হচ্ছে, তারসঙ্গে সত্যের মিল না থাকায় অনেক সবুজ-মেরুন ফ্যানও ভুল বুঝছেন ঘরের ছেলেকে। মোহনবাগান-কেরালা ব্লাস্টার্স (Kerala Blasters), কোনও বিষয়েই এই মুহূর্তে জাতীয় শিবিরে থেকে কোনও মন্তব্য করবেন না তিনি। ঠিক কী অবস্থায় দাঁড়িয়ে মোহনবাগান আর প্রীতম কোটালের অবস্থান?
সন্দেশ জিঙ্ঘান ক্লাব ছাড়ার পর কোনও উপায় ছিল না বলেই প্রীতম কোটালকে স্টপারে খেলান মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফার্নান্দো। এই মরশুমে মোহনবাগান ম্যানেজমেন্ট যে মুহূর্তে আনোয়ার আলিকে সই করিয়েছেন, সঙ্গে সঙ্গে বার্তা পরিস্কার- প্রীতম নন, প্রথম একাদশের স্টপার হিসেবে আনোয়ারকেই ভাবছে ক্লাব ম্যানেজমেন্ট। জাতীয় দলের কোচ ইগর স্টিমাচ জানিয়ে দেন, ক্লাব দলে স্টপারে খেললেও, জাতীয় দলে রাইট ব্যাক হিসেবেই ভাবছেন তিনি। এমনকী ক্লাব কোচ জুয়ানের সঙ্গে তাঁর জন্য কথা হয়, তখন জুয়ানও জানান, প্রীতমকে রেখেই তিনি দল করছেন। এরমধ্যেই বেঙ্গালুরু এফসি থেকে সইয়ের জন্য ফোন আসে তাঁর কাছে।
[আরও পড়ুন: ‘কথা রেখেছে সরকার’, আর পথে নেমে প্রতিবাদ নয়, আদালতে লড়াই চালাবেন কুস্তিগিররা]
গত মরশুমে আইএসএল জয়ী অধিনায়ক পরিস্কার জানিয়ে দেন, আরও দু’বছর তাঁর সঙ্গে চুক্তি রয়েছে মোহনবাগানের। তাঁকে নিতে চাইলে ক্লাব ম্যানেজেমেন্টের সঙ্গে কথা বলতে হবে। কেরালা ব্লাস্টার্স আবার প্রীতমের সঙ্গে কথা না বলে, তাঁর এজেন্টের মাধ্যমে সরাসরি কথা বলেন মোহনবাগান ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে। এক্ষেত্রে কেরালার চুক্তির অঙ্ক মোহনবাগানের থেকেও বেশি। কিন্তু এই ইস্যুতে প্রীতম কিংবা কেরালা কারও সঙ্গেই এখনও চূড়ান্ত কথা বলেনি মোহনবাগান ম্যানেজমেন্ট। এটা ঠিক যে তিনি চুক্তিমতো আরও দুটো মরশুমে মোহনবাগানেই খেলতে চান। কিন্তু কেরালা যেহেতু প্রীতমকে চেয়ে ট্রান্সফার ফি’র প্রস্তাব দিয়েছে সবুজ-মেরুন কর্তাদের কাছে, তাই গত মরশুমের অধিনায়ক জানেন না, মোহনবাগান তাঁকে দলে রাখছে, না ছেড়ে দিচ্ছে। ফলে যত খবর চারিদিকে ছড়াচ্ছে, তাতে রীতিমতো বিরক্ত হচ্ছেন তিনি।
দলে আনোয়ার এসেছে বলেও তাঁর কোনও সমস্যা নেই। কারণ, যেভাবে এতদিন লড়াই করে জায়গা করে নিয়েছেন, সেভাবেই স্টপার, রাইট ব্যাক দু’জায়গাতেই জায়গা করে নিতে পারবেন বলে বিশ্বাস করেন। কিন্তু তার জন্য তো ম্যানেজমেন্টের তরফে তাঁর সঙ্গে চূড়ান্ত আলোচনা দরকার। আশা করছেন, সাফের পর কলকাতায় ফিরলে নিশ্চয়ই কথা হবে ফুটবল ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে। ততক্ষণ না হয়, তাঁর দলবদল নিয়ে সবুজ-মেরুন সমর্থকরা একটু টেনশনই থাকুক।