সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জঙ্গল কমছে। তার চেয়েও বেশি করে কমছে জঙ্গলের খাদ্যের ভাণ্ডার। তাই জন্যই কি লোকালয়ে ঢুকে পড়েছিল বাঘ? হত্যা করেছিল এক ব্যক্তিকে? যদিও গ্রামবাসীদের দাবি, পূর্ণ বয়স্ক ওই বাঘটি ‘নরখাদক’। আতঙ্কে রাতের ঘুম উড়েছিল স্থানীয়দের। এই অবস্থায় কেরলের (Kerala) জঙ্গলের ওই বাঘটিকে ‘নরখাদক’ শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। হত্যার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বনদপ্তরের তরফে।
কেরলের ওয়ানড় জেলার জঙ্গলে ১৩ বছরের ওই বাঘটি WWL 45 হিসেবে চিহ্নিত। গত ৯ ডিসেম্বরের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় কালপেট্টা এলাকায়। সেখানে জঙ্গলের কাছে এক ব্যক্তির আধ খাওয়া দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয়দের দাবি, গবাদি পশুর জন্য ঘাস কাটতে গেছিলেন ওই ব্যক্তি। তখনই নরখাদক বাঘ তাঁর উপর হামলা চালায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায় গ্রামে। বনদপ্তরের কাছে ‘নরখাদক’ বাঘটিকে হত্যার আবেদন জানান স্থানীয়রা।
[আরও পড়ুন: গাজায় কত বোমা ফেলল ইজরায়েল? প্রকাশ্যে হাড়হিম করা তথ্য]
জনতার কথায় মান্যতা দিয়ে বনদপ্তর বাঘটিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছে। জঙ্গলের ২৫টি ক্যামেরায় সারাক্ষণ নজরদারি চালানো হচ্ছে। দুটি খাঁচায় ফাঁদও পাতা হয়েছে। রাজ্যের বনমন্ত্রী শশীধরনের সঙ্গে কথা বলেই এই সিদ্ধান্ত বন আধিকারিকদের। এর মধ্যেই বাঘ হত্যা রুখতে সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কেরল হাই কোর্টে মামলা করেন পশুপ্রেমী এক ব্যক্তি। যদিও সেই মামলা খারিজ হয়ে যায়। উলটে আদালতের মূল্যবান সময় নষ্ট করার দায়ে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা হয়েছে মামলাকারীর। ‘নরখাদক’ বাঘের আয়ু বেশিক্ষণ নেই, জানিয়ে দিয়েছেন কেরলের মন্ত্রী।