সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেরলে সোনা পাচারের ঘটনায় অভিযুক্তদের দু’জনকে গ্রেপ্তার করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA)। বেঙ্গালুরু থেকে ধৃত দু’জনের নাম সন্দীপ নায়ার এবং স্বপ্না সুরেশ। স্বপ্নাকে আজ কোচিতে NIA-এর কার্যালয়ে পেশ করা হবে। সন্দীপ ও স্বপ্নার বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন, ১৯৬৭-এর আওতায় একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই অভিযোগ উঠেছে যে সোনা পাচার করে পাওয়া মোটা অঙ্কের অর্থ সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে ব্যবহার করা হয়েছে। এনআইএ তদন্ত করে দেখছে যে সোনা পাচারের এই ঘটনা, দেশের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার পরিপন্থী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত কি না। ঘটনায় অপর অভিযুক্ত, সরিথ কুমারকে NIA-র আদালতে ১৫ জুলাইয়ের পর পেশ করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। সরিথকে আগেই গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। বুধবার কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছিল, কেরলে সোনাপাচার কাণ্ডে তদন্ত করবে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। ফলে চাপ বেড়েছে কেরলের বিজয়ন সরকারের।
[আরও পড়ুন: এবার WhatsApp, ই-মেলেও পাঠানো যাবে মামলার নোটিস, মুশকিল আসান সুপ্রিম কোর্টের]
ঘটনার সূত্রপাত গত ৪ জুলাই। তিরুবনন্তপুরম বিমানবন্দরে ৩০ কেজি সোনা (যার অর্থমূল্য ১৫ কোটি টাকা) আটক করেছিল শুল্ক দপ্তরের আধিকারিকরা। সৌদি আরব থেকে ‘ডিপ্লোমেটিক’ কার্গোয় তিরুঅনন্তপুরমে এসেছিল ওই সোনা। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিরুঅনন্তপুরমে সৌদি আরবের দূতাবাসের প্রাক্তন জনসংযোগ আধিকারিক সরিথ কুমারকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। তিনি বর্তমানে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন। সরিথ কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই শুল্ক দপ্তরের আধিকারিকরা জানতে পারেন স্বপ্না সুরেশের নাম। তিরুঅনন্তপুরমে সৌদি আরব দূতাবাসের লিয়াজোঁ অফিসার ছিলেন স্বপ্না। আবার মুখ্যমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে দেখভাল করে, এমন একটি সংস্থাতেও কর্মরত ছিলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: যথেষ্ট নয় প্রেসক্রিপশন, এবার করোনার ওষুধ কিনতে লাগবে আধার কার্ড]
তবে বিতর্ক বাড়ে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে স্বপ্নার ছবি প্রকাশ্যে আসার পর। পরে স্বপ্না ছাড়াও এফআইআর দায়ের করা হয় সরিথ কুমার, ফজিল ফরিদ, সন্দীপ নায়ার ও আরও অনেকের নামে। তাদের মধ্যে স্বপ্না এবং সন্দীপকে গ্রেপ্তার করে পেশ করা হবে NIA আদালতে।
The post কেরলে সোনা পাচার কাণ্ড, বেঙ্গালুরু থেকে NIA-এর হাতে ধৃত বিজয়ন ঘনিষ্ঠ স্বপ্না সুরেশ appeared first on Sangbad Pratidin.