সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রবাদকে মান্যতা দিল আদালত! পালিয়ে যাওয়া প্রেমিক যুগলকে কলেজ থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত খারিজ করল কেরল হাই কোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘ভালবাসা অন্ধ এবং মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। এটি ব্যক্তিগত ও ব্যক্তি স্বাধীনতার বিষয়।’
[যন্তর-মন্তরে প্রতিবাদ-ধরনায় সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা নয়, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের]
গত বছর কেরলের কোল্লাম জেলার একটি কলেজে বিবিএ কোর্সে ভরতি হন এক ছাত্রী। কলেজের এক সিনিয়র ছাত্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় তাঁর। বন্ধুত্ব থেকে প্রেম। কিন্তু, দুই পরিবার তো বটেই, ওই তরুণ-তরুণীর সম্পর্কে আপত্তি তোলে কলেজ কর্তৃপক্ষও। শেষমেশ পালিয়ে যায় ওই প্রেমিক যুগল। পরে অবশ্য মেয়ের সম্পর্ক মেনে নেন ছাত্রীটির পরিবার। এমনকী, আদালতে যথন পছন্দের মানুষটি বিয়ে করেন ওই তরুণী, তখন হাজির ছিলেন পরিবারের লোকেরাও। কিন্তু, নিজেদের সিদ্ধান্তেই অনড় থাকে কলেজ কর্তৃপক্ষ। শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে কলেজ থেকে বহিষ্কৃত হন ওই তরুণী ও তাঁর প্রেমিক। এরপরই কেরল হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা। আদালতের নির্দেশ, শুধু ক্লাস করতে দেওয়াই নয়, ওই তরুণী যাতে কোর্স শেষ করতে পারেন, কলেজ কর্তৃপক্ষকে সেটাও নিশ্চিত করতে হবে। তাঁর প্রেমিককে ফিরিয়ে দিতে হবে পড়াশোনা সংক্রান্ত যাবতীয় নথি।
কেরল হাই কোর্টের বিচারপতি এ মহম্মদ মুস্তাকের পর্যবেক্ষণ, কলেজ পরিচালনায় যাঁরা যুক্ত, তাঁরা কাউকে ভালবাসা বা তাঁর সঙ্গে পালিয়ে যাওয়াকে ‘অনৈতিক’ বলে মনে করতে পারেন। কিন্তু, আইনের চোখে বিষয়টি আদৌও তেমন নয়। প্রেম বা ভালবাসা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। প্রেম অন্ধ। বিষয়টির সঙ্গে ব্যক্তি স্বাধীনতা জড়িত। তা কখনই খর্ব করা যায় না। আদালতের আরও বক্তব্য, ‘কে কার সঙ্গে প্রেম করবে কিংবা করবে না, তা ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের ব্যাপার। পছন্দের মানুষের সঙ্গে জীবন কাটানো মানুষের মৌলিক অধিকার।’
[ ডেলিভারি বয়ের সঙ্গে যুক্তি করে প্রতারণার ছক, গ্রেপ্তার প্রাক্তন আমাজন কর্মী]
The post প্রেমে দোষ নেই, যুগলকে কলেজ থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত খারিজ আদালতের appeared first on Sangbad Pratidin.