সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের সর্বক্ষেত্রে আগুয়ান নারীশক্তি। সাধারণতন্ত্র দিবসের প্যারেড হোক বা পদ্মশ্রীর আসর, শীর্ষে নারীরাই। তাহলে নমাজের ক্ষেত্রেই বা তাঁরা পিছিয়ে থাকবেন কেন? না, থাকেননি। দেশের প্রথম মহিলা ইমাম হয়ে নমাজে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জমিদা। সেকারণেই হুমকির মুখে পড়তে হল তাঁকে।
[ সাপের বিষ থেকে মুক্তি আয়ুর্বেদেই, নজির গড়ে পদ্মশ্রী পেলেন ‘জঙ্গলের ঠাকুমা’ ]
দেশের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও মহিলা ইমাম নমাজে নেতৃত্ব দিলেন। শুক্রবারের জুম্মা নমাজ ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে এক বিশেষ প্রার্থনা। এ পর্যন্ত এই কাজে নেতৃত্ব দিয়ে এসেছেন পুরুষ ইমামই। এই প্রথম লিঙ্গবৈষম্যের প্রাচীরে আঘাত। ইতিহাসের অভিমুখ বদলে দিয়ে প্রথমবার কোনও নারী এই কাজে নেতৃত্ব দিলেন। চিরকালীন এ প্রথা ভাঙল কেরলের মলপ্পুরমের এক মসজিদে। গত শুক্রবার নমাজের সময় জমিদাকে অনুসরণ করেন অন্তত জনা আশি ধর্মপ্রাণ মানুষ। তাঁদের মধ্যে ছিলেন পুরুষরাও। কোরান সুন্নত সোসাইটির সেক্রেটারি জমিদা জানাচ্ছেন, শরিয়তি আইনে কোথাও বলা নেই যে মহিলারা এ কাজ করতে পারেন না। তবে এতদিন তা করা হয়নি। এই প্রথমবার হল। ৩৪ বছর বয়সী জমিদার জার্নিটা অবশ্য সহজ ছিল না। একদা কোনও এক কারণে সামাজিক বয়কটের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু তাতে পিছু হটেননি। বরং ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই লড়াই, জেদই আজ তাঁকে ইতিহাসের পাতায় তুলে আনল।
[ পদ্মশ্রী নিতে অস্বীকার, প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি সন্ন্যাসীর ]
কিন্তু জমিদা ইতিহাস গড়লেও ক্ষান্ত নয় কট্টরপন্থীরা। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের একাংশই তাঁকে রীতিমতো হুমকি দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এমনকী ফোন করে তাঁর প্রাণনাশেরও হুমকি দেওয়া হয়েছে। কট্টরপন্থীদের একাংশের বক্তব্য, জমিদা যে কাজ করেছেন তা ইসলামের পরিপন্থী। ইসলাম এ কাজ অনুমোদন করে না। অন্যদিকে প্রগতিশীল ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা বলছেন, এতদিন সংস্কারের গেরোয় আটকে রাখা হত নারীদের। সাহসী জমিদা সে স্টিরিওটাইপ ভাঙতে পেরেছেন। ঠিক যেভাবে তিন তালাকের বিলোপ নিয়ে বিতর্ক জমেছে, সেই বিতর্ক দেখা দিয়েছে জমিদার ইমাম হওয়াকে কেন্দ্র করেও। তবে জমিদা অবশ্য তা নিয়ে ভয় পাচ্ছেন না। এদিকে প্রাণনাশের হুমকি থাকার ফলে জমিদাকে নিরাপত্তার দেওয়ারও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
The post নমাজে নেতৃত্ব দিয়ে হুমকির মুখে দেশের প্রথম মহিলা ইমাম appeared first on Sangbad Pratidin.