সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হেমা কমিটির রিপোর্ট ঘিরে উত্তাল মালয়ালম চলচ্চিত্র জগৎ। তাতে ঘৃতাহুতি পড়ে শ্রীলেখা মিত্রর (Sreelekha Mitra) অভিযোগে। অন্ধকার ঘরে অশালীনভাবে ছোঁয়ার চেষ্টা করেছিলেন মালয়ালম সিনেমার পরিচালক রঞ্জিত। এমনই অভিযোগ সোশাল মিডিয়ায়, সংবাদমাধ্যমে করেন শ্রীলেখা। তা নিয়ে তুমুল শোরগোল হয়। কেরালা চলচ্চিত্র অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। এবার আর সোশাল মিডিয়া বা সংবাদমাধ্যম নয়, সরাসরি পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন শ্রীলেখা।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা গিয়েছে এই খবর। আর সেই অনুযায়ী, গতকাল অর্থাৎ সোমবার কোচি থানায় রঞ্জিতের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন শ্রীলেখা। আইজিপি এবং পুলিশ কমিশনার এস. শ্যামসুন্দর জানান, ভারতীয় সংবিধানের ৩৫৪ ধারায় মহিলা নিগ্রহের অভিযোগ জানানো হয়েছে। সেই ভিত্তিতে তদন্ত হবে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
[আরও পড়ুন: আদৃতের ‘পাগলপ্রেমী’র শুটিং স্থগিত! নায়ক-প্রযোজকের মনোমাল্যিন্যের জের? জল্পনা তুঙ্গে]
এর আগে শ্রীলেখা জানান, মামুতি অভিনীত ‘পালেরি মণিক্যম: ওরু পাথিরাকোলাপাথাকাথিনতে কথা’ সিনেমায় তাঁর অভিনয় করার কথা ছিল। এর জন্যই অভিনেত্রীকে কোচিতে ডাকা হয়েছিল। সেখানে থাকার ব্যবস্থাও ছিল। সকালে সেটে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। সেখানে ফটোশুট হয়। কস্টিউম এবং অন্যান্য বিষয়েও আলোচনা হয়। বিকেলে সিনেমা সংক্রান্ত আলোচনার জন্য পরিচালকের বাড়িতে তাঁকে ডাকা হয়েছিল।
অভিনেত্রী জানান, তিনি যখন রঞ্জিতের বাড়িতে যান পরিচালক ফোনে কথা বলছিলেন এবং ড্রয়িং রুমে অনেকে ছিলেন। তাঁর অভিযোগ, ইশারায় শ্রীলেখাকে অন্ধকার বেডরুমে ডাকেন রঞ্জিত। ঘরের বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। শ্রীলেখা যেতেই তাঁর হাতের চুড়িতে নিয়ে নাড়াচাড়া করতে থাকেন। অভিনেত্রী তখনই সতর্ক হয়ে ওঠেন। কিন্তু তখনও পরিচালকের অভিসন্ধি বুঝে উঠতে পারছিলেন না। কিন্তু এর পর অভিনেত্রীর চুলে আর ঘাড়ে হাত দিতে থাকেন পরিচালক। অভিনেত্রী আর অপেক্ষা করেননি। সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে বেরিয়ে যান।
হেনস্তার এই অভিযোগে শ্রীলেখাকে সমর্থন করেছেন জাতীয় পুরস্কারজয়ী পরিচালক জোশী জোসেফ। শ্রীলেখার সঙ্গে যে অন্যায় হয়েছে, তা তিনি জানেন বলেই দাবি করেছেন। এর পরই তিনি জানান, সেই সময় শ্রীলেখা তাঁকে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। তিনিই গিয়ে গাড়িতে করে শ্রীলেখাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন। শ্রীলেখা চেয়েছিলেন রঞ্জিত যেন নিজের কাজের জন্য ক্ষমা চান। কিন্তু, রঞ্জিতের কোনও অনুতাপ নাকি ছিল না।