সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেরলে (Kerala) যৌন হেনস্তার অভিযোগ উঠল এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, গত এক বছর ধরে একাধিক নাবালিকা ছাত্রীদের উপর যৌন নির্যাতন চালাচ্ছিল ওই স্কুল শিক্ষক। মোট ২৬ জন পড়ুয়া যৌন হেনস্তার শিকার হন। ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির পাঁচ ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই শিক্ষককে। পকসো (POCSO) আইনে মামলা করা হয়েছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি কেরলের কান্নুর জেলার। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম ফয়জল মেচেরি। তিনি সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে গত চার বছর ধরে শিক্ষকতা করছিলেন। সম্প্রতি স্কুলে পড়ুয়াদের কাউন্সিলিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেখানেই এক ছাত্রী সাহস করে ফয়জলের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ তোলে। সে জানায়, একদিন-দু’দিন নয়, ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে তার উপর যৌন হেনস্তা চালাচ্ছিল অভিযুক্ত। প্রাথমিক ভাবে একজন ছাত্রী একথা জানালেও পরে মোট ২৬ জন ছাত্রী শিক্ষকের বিরুদ্ধে মুখ খোলে।
[আরও পড়ুন: ৫০ লক্ষ টাকা ঘুষ! লামডিংয়ের রেলের উচ্চপদস্থ কর্তাকে হাতেনাতে ধরল সিবিআই]
পুলিশ জানিয়েছে, এমন ঘটনায় স্কুলের তরফেই চাইল্ড লাইনে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তারাই পুলিশকে গোটা বিষয়টি জানান। এর পর গত ১২ জানুয়ারি প্রাথমিক ভাবে পাঁচ জন ছাত্রীর অভিযোগর ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত শিক্ষক ফয়জল মেচেরিকে। ছাত্রীরা পুলিশকে জবানবন্দি দেয়। তার ভিত্তিতেই পকসো আইন মামলা করা হয়েছে। শিক্ষকের বিরুদ্ধে মোট ২১টি মামলা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: কুকুর নিয়ে ঝামেলার জেরে অ্যাসিড হামলা প্রতিবেশীদের! হাসপাতালে পোষ্যের মালিক]
কেরলে এর আগেও একই ধরনের অভিযোগ উঠেছে শিক্ষক ও অধ্যাপকদের উপরে। গত বছর মে মাসে সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল একটি ঘটনায়। অবসরপ্রাপ্ত এক শিক্ষকের ফেসবুক পোস্টের পরে তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খোলেন একাধিক ছাত্রী। সকলেই কে ভি শশীকুমার নামের ওই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ তোলেন। এর পর গ্রেপ্তার করা হয় শশীকুমারকে। তার আগে তিরুবন্তপুরমের (Thiruvananthapuram) এসএন কলেজের এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধ একই ধরনের অভিযোগ উঠেছিল। পরে অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়।