সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অসুস্থ বাবা। লিভারের (Liver) অসুখে কার্যতই প্রাণ সংশয় তাঁর। এই পরিস্থিতিতে নিজের লিভারের অংশ বাবাকে দান করে তাঁকে সুস্থ করে তুলতে চায় কিশোরী কন্যা। কিন্তু বাধ সাধছিল বয়স। কেরলের (Kerala) ত্রিশূর জেলার দেবানন্দার বয়স যে ১৭। অবশেষে বৃহস্পতিবার ওই নাবালিকাকে সবুজ সংকেত দেখাল কেরল হাই কোর্ট।
প্রাথিশ পি জি ভুগছেন লিভারের অসুখে। হেপাটোসেলুলার কার্সিনোমা নামের ওই অসুখে লিভারে চর্বি জমে। এই ফ্যাটি লিভার অ্যালকোহলসেবী না হলেও হয়। ডাক্তার জানিয়ে দিয়েছেন, লিভার প্রতিস্থাপন ছাড়া এই অসুখ থেকে রেহাই নেই। দেখা যায়, পরিবারের বাকি সদস্যদের মধ্যে একমাত্র দেবানন্দার সঙ্গে তাঁর লিভারের মিল রয়েছে। ফলে একমাত্র কন্যার লিভারই তিনি পেতে পারেন। মেয়েও বাবাকে সুস্থ করে তুলতে মরিয়া। এমতাবস্থায় বাধ সেধেছিল দেবানন্দার বয়স। কেননা মানব অঙ্গ ও কলা প্রতিস্থাপন আইন, ১৯৯৪ অনুযায়ী অঙ্গ প্রতিস্থাপন করার জন্য অঙ্গদানের ক্ষেত্রে দাতাকে প্রাপ্তবয়স্ক হতেই হবে।
[আরও পড়ুন: ‘ভারত জোড়ো যাত্রা বন্ধ করতে করোনার বাহানা দিচ্ছে কেন্দ্র’, অভিযোগ রাহুলের]
বিষয়টা গড়িয়েছিল আদালতে। গত ২৩ নভেম্বর কেরলের অঙ্গ প্রতিস্থাপনের সংস্থা K-SOTTO-র বিশেষজ্ঞ কমিটিকে এই আরজি শোনার আবেদন জানিয়েছিল আদালত পরে ওই কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পরে দেবানন্দাকে অনুমতি দিল লিভার প্রতিস্থাপনে দাতা হওয়ার বিষয়ে। যদিও কমিটি প্রাথমিক ভাবে দেবানন্দাকে অনুমতি দিতে রাজি ছিল না। কিন্তু চিকিৎসকদের নিয়ে তৈরি কমিটি পরে রোগীর সমস্ত মেডিক্যাল রিপোর্ট খতিয়ে দেখে এবং যে চিকিৎসকরা চিকিৎসা করছেন তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করে অনুমতি দেয়।
আসলে কমিটি পুরো বিষয়টি পর্যালোচনা করে বুঝতে পারে, এক্ষেত্রে প্রতিস্থাপন ছাড়া আর উপায় নেই। এদিকে দাতা হতে ইচ্ছুক দেবানন্দা খুব ভাল করে জানে নাবালিকা অবস্থায় দাতা হলে কী সমস্যা হতে পারে। তবুও সে সম্পূর্ণ স্বেচ্ছায় এবং কোনও ধরনের চাপে না পড়েই বাবাকে বাঁচাতে এই ঝুঁকি নিতে রাজি। এরপরই অনুমতি দেওয়া নিয়ে আর ভাবেনি কমিটি।