সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রের প্রস্তাবিত জাতীয় শিক্ষানীতির প্রবল বিরোধী ছিল বামশাসিত কেরল (Kerala)। এবার ঘুরিয়ে সেই জাতীয় শিক্ষানীতিরই একটি বড় শর্ত মেনে নিল কেরল সরকার। আগামী বছর থেকে কেরলে স্নাতকের পাঠক্রম শুরু হতে চলেছে ৪ বছরে। এমনটাই জানিয়েছেন সেরাজ্যের উচ্চশিক্ষামন্ত্রী আর বিন্দু (R Vindu)।
কেরলের উচ্চশিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী বছর থেকে সেরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ৪ বছরের স্নাতক পাঠক্রম চালু হচ্ছে। তবে পড়ুয়ারা চাইলে ৩ বছর পর স্নাতক ডিগ্রি ছেড়ে বেরিয়ে যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে তাঁদের স্নাতক সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। তবে সাম্মানিক অর্থাৎ অনার্স সার্টিফিকেট পেতে হলে চার বছরই পড়াশোনা করতে হবে। সেক্ষেত্রে চতুর্থ বছর গবেষণা এবং বিশ্লেষণধর্মী পড়াশোনায় জোর দেওয়া হবে।
[আরও পড়ুন: রাজনৈতিক সংঘাতের মধ্যেই সৌজন্য, প্রধানমন্ত্রীকে বাংলার আম উপহার পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী]
কেরলের উচ্চশিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, সব প্রস্তুতি শেষ। আগামী বছর থেকেই এই নয়া শিক্ষা পদ্ধতি চালু হবে। কেরলের ইতিহাসে এই প্রথম এই ধরনের শিক্ষার গঠনকাঠামো পরিবর্তন করা হচ্ছে। এই নতুন ফ্রেমওয়ার্ক কেরলের শিক্ষাপদ্ধতি আমূল বদলে দেবে।
[আরও পড়ুন: মোটা বেতন, বোনাস থেকে ক্লাবের শেয়ার! বেকহ্যামের ক্লাবে কী কী পাবেন মেসি?]
তাৎপর্যপূর্ণভাবে জাতীয় শিক্ষানীতির অন্যতম শর্তই ছিল চার বছরের স্নাতক পাঠক্রম। শুরুতে বিরোধিতা করার পরও কেরল সরকার ঘুরিয়ে সেটা মেনে নল। যার ফলে কার্যত গোটা দেশেই ঘুরিয়ে এই জাতীয় শিক্ষানীতি চালু হয়ে গেল। বাংলায় অবশ্য সরাসরি জাতীয় শিক্ষানীতি চালু হয়নি। রাজ্য সরকার পৃথক একটি নীতি তৈরি করেছে। যা জাতীয় শিক্ষানীতির কাছাকাছি।