সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হল ওয়ানড়ের বিভীষিকার। গত কয়েকদিন ধরে মানুষখেকো বাঘিনীর আতঙ্কে তটস্থ ছিলেন কেরলের ওয়ানড়ে বাসিন্দারা। সোমবার ভোরে পিলাকাভু অঞ্চলে জঙ্গলের বাইরে এক বাড়ির পিছন থেকে বাঘিনীর দেহ উদ্ধার হয়। তার শরীরে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। যার জেরেই মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
বেশ কিছুদিন ধরেই বাঘের আতঙ্কে জীবনযাপন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল ওয়ানড়ের বাসিন্দাদের। গত শুক্রবার বাঘিনীর হামলার মৃত্যু হয় ভারতীয় ক্রিকেটার মিন্নু মানির কাকিমার। রাধা নামে ৪৮ বছর বয়সি ওই মহিলা জঙ্গলে কফি সংগ্রহে গিয়েছিলেন। রাধার মৃত্যুতে গোটা রাজ্য জুড়ে তীব্র প্রতিবাদ শুরু হয়। ওয়ানড়ের সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও ঘটনায় শোকবার্তা জানিয়েছেন। অন্যদিকে রাজ্য সরকার থেকে রাধার পরিবারের জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা অর্থসাহায্য ঘোষণা করা হয়। বাঘিনীকে ধরতে কোমর বেঁধে নামে বনদপ্তর। কার্ফু জারি করা হয় ওই অঞ্চলে। যদিও মানুষখেকোকে খুব একটা বাগে আনতে পারেননি বনদপ্তরের আধিকারিকরা। অবশেষে জঙ্গলের বাইরে থেকে উদ্ধার হল বাঘিনীর মৃতদেহ।
বন্যপ্রাণী চিকিৎসক অরুণ জাকারিয়া বলেন, 'মৃতদেহ পরীক্ষা করে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, বাঘিনীটির বয়স ৭ বছর। তার ঘাড়ের কাছে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সম্ভবত ওই ক্ষত থেকে সংক্রমণের জেরেই তার মৃত্যু হয়েছে। যদিও ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ স্পষ্ট হবে।'
পাশাপাশি উত্তর সার্কেলের মুখ্য বনআধিকারিক কে এস দীপা বলেন, "আমরা নিশ্চিত যে এই বাঘের হামলাতেই দীপার মৃত্যু হয়েছিল। জঙ্গলে বহু ক্যামেরা লাগিয়ে বাঘটির গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছিলাম আমরা। খাঁচা ও জাল পেতে বাঘটিকে ধরার চেষ্টাও করা হয়েছিল গত রবিবার। তবে সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়। এর কয়েকঘণ্টা পরই সোমবার ভোররাতে বাঘিনীটির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।"