সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক : “খবরদার, তামাশা করবেন না।” আদর্শ আচরণ বিধি ভঙ্গ করায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বনী কুমার চৌবের কনভয় আটকে ছিলেন মহকুমা শাসক। কিন্তু, তাঁকে এভাবেই হুমকি দিয়ে সেখান থেকে চলে গেলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী। শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের বক্সার লোকসভা কেন্দ্রে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর বিতর্ক তৈরি হয়েছে বিহারের রাজনৈতিক মহলে।
ওই সময়ে তোলা একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বক্সারের মহকুমা শাসক কে কে উপাধ্যায় পুলিশকর্মীদের নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয় আটকান। এরপরই দুজনের মধ্যে বচসা শুরু হয়। গাড়ির সামনের সিট বসে মহকুমা শাসককে রীতিমতো ধমক দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “খবরদার, তামাশা করবেন না।” তার উত্তরে খুব শান্ত স্বরে মহকুমা শাসক বলেন, “নির্বাচন কমিশন যা নির্দেশ দিয়েছে তাই আমাকে মানতে হবে।” এতেই আরও উত্তেজিত হয়ে পড়েন অশ্বনী কুমার চৌবে। চিৎকার করে বলেন, “ঠিক আছে তাহলে আমাকে জেলে পাঠিয়ে দিন, নিয়ে চলুন জেলে।”
[আরও পড়ুন- টালা ব্রিজে বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় এসটিএফের জালে লিংকম্যান বম্ব মুস্তাফা]
এই কথা শুনে মন্ত্রী রেগে উঠলেও উত্তেজিত হননি মহকুমা শাসক। বরং আরও ভদ্রভাবে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন তিনি। বলেন, “আমার কাছে আপনাকে নয়, আপনার গাড়িটিকে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ আছে।” যদিও ওই সরকারি আধিকারিকের কোনও কথাই শুনতে রাজি হননি বক্সারের বিদায়ী সাংসদ। বরং জোর করে সেখান থেকে গাড়ি নিয়ে চলে যাওয়ার সময় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলে যান, “এই গাড়িগুলো আমার। এগুলোকে বাজেয়াপ্ত করা যাবে না।”
যদিও পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এবিষয়ে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেই জানান বক্সারের মহকুমা শাসক কে কে উপাধ্যায়। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিনা অনুমতিতে বক্সারের জেলা ময়দানে প্রচুর গাড়ি পার্ক করা রয়েছে বলে খবর আসে। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা লঙ্ঘন করেও সভার কাজ চলছিল। মন্ত্রীর কনভয়েও ৩০ থেকে ৪০টি গাড়ি ছিল। যার জন্য কোনও অনুমতি পর্যন্ত নেওয়া হয়নি। তাই ওই গাড়িগুলোকে আটক করার নির্দেশ ছিল। কিন্তু, তা করা যায়নি। তবে খুব শীঘ্রই এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বক্সারের বিদায়ী সাংসদ অশ্বনী কুমার চৌবে নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভায় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে কাজ করেছেন। এবারের ভোটেও তাঁকে বক্সার লোকসভা আসন থেকে বিজেপি প্রার্থী করা হয়েছে।