সুকুমার সরকার, ঢাকা: দিল্লিতে প্রেমিকের হাতে খুন হয়েছিলেন তরুণী শ্রদ্ধা ওয়ালকর। তাঁর লাশ টুকরো টুকরো করে শহরে ছড়িয়ে দিয়েছিল খুনি আফতাব। সেই ঘটনায় কেঁপে উঠেছিল গোটা ভারত। এবার এমনই ঘটনা ঘটল বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। তবে এই ঘটনার মূলে রয়েছে একটি ‘কিলার কাপল’।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রেমিক আবু বকরের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে প্রাক্তন স্বামী আলি হোসেনকে হত্যা করে সুমি বেগম। খুনের পর লাশ দশ টুকরো করে খালে ফেলে দেওয়া হয়। এছাড়া, জাহাঙ্গির হোসেন মানের এক তরুণকেও খুন করেছে ওই দুই অভিযুক্ত বলে জানিয়েছে পুলিশ। এছাড়া একই সময়ে আরও পাঁচটি হত্যার খবর মিলেছে।
[আরও পড়ুন: জেলমুক্ত বাংলাদেশের ‘জল্লাদ’, ২৬ জনকে ফাঁসি দিয়ে প্রশ্ন, ‘খাব কী?’]
তদন্তকারীদের দাবি, পরিকল্পিতভাবে এই দু’টি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে সুমি আর তার প্রেমিক আবু বকর। অন্যেক কাছে তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিত। ফিল্মি কায়দায় এই দুই হত্যার পর প্রমাণ নষ্ট করার চেষ্টা করেছে তারা। তবে এতকিছুর পরও শেষরক্ষা হয়নি। হত্যাকাণ্ড দু’টির রহস্য উদ্ঘাটিত হয়েছে অনেকটা নাটকীয়ভাবে। একটি জিডির (সাধারণ ডায়েরি) তদন্তের সূত্রে সামনে আসে ভয়াবহ তথ্য। জানা যায়, জাহাঙ্গিরকে হত্যার পর দেহ বস্তাবন্দি করে ফেলা হয় বাড়ির সামনে পয়ঃনিষ্কাশনে। আলি হোসেনের দেহ দশ টুকরো করার পর খালে ফেলে দেওয়া হয়। দু’টি হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে আবু বকর সিদ্দিক ও সুমি বেগম।
[আরও পড়ুন: বসবাসের কতটা যোগ্য ঢাকা? কী বলছে আন্তর্জাতিক সংস্থার রিপোর্ট?]
পুলিশের ডেমরা অঞ্চলের সহকারী কমিশনার মধুসূদন দাস জানান, আবু বকর সিদ্দিক ও সুমি বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাদের আচরণ ছিল সন্দেহজনক। তখনই তাদের কড়া জেরা করা হয়। সুমির প্রথম স্বামী ছিলেন জাহাঙ্গির হোসেন। তাঁর মাধ্যমে আবু বকরের সঙ্গে সুমির পরিচয়। সুমির বয়ান থেকে পয়ঃনিষ্কাশনের নালা থেকে জাহাঙ্গিরের লাশ। আর খাল থকে উদ্ধার করা হয় আলি হোসেনের লাশ।